অনেক স্থানে পাহাড়ি ঢলের পানির প্রবল তোড়ে ভেঙে গেছে ঘরবাড়ি, গাছপালা।
Published : 05 Oct 2024, 10:07 AM
টানা প্রবল বৃষ্টি আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে শেরপুরের সীমান্তবর্তী তিন উপজেলার কমপক্ষে ১৮টি ইউনিয়নের আকস্মিক বন্যা কবলিত হয়েছে। এর মধ্যে পানিতে ডুবে মারা গেছেন আরেক নারী, ভেসে গিয়ে নিখোঁজ রয়েছেন তিনজন।
ঝিনাইগাতী, নালিতাবাড়ী ও শ্রীবরদী উপজেলার এসব ইউনিয়নের অধিকাংশ রাস্তাঘাট, বিস্তীর্ণ এলাকার ফসলের মাঠ তলিয়ে গেছে। এর মধ্যে অসংখ্য বাড়িঘর পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে হাজার হাজার মানুষ।
শনিবার সকালে নালিতাবাড়ী থানার ওসি মো. ছানোয়ার হোসেন জানান, নালিতাবাড়ী উপজেলায় শুক্রবার রাতে বাঘবের গ্রামের আম্বিয়া খাতুন (৪৫) পানিতে ডুবে মারা গেছেন। তার আগে শুক্রবার বিকালে খালিসাকুড়া গ্রামে ইদ্রিস আলী নামে ৬৫ বছরের এক বৃদ্ধ।
এছাড়া, শুক্রবার রাতে নামা বাতকুচি গ্রামের মহুয়া খাতুন, উভয়নগর গ্রামের দুইভাই হাতেম আলী ও আলমগীর বন্যার পানিতে ভেসে গিয়ে নিখোঁজ রয়েছেন।
তিনদিন ধরে টানা বৃষ্টির কারণে স্থানীয় পাহাড়ি নদ-নদীর পানি বেড়েছে। সেই সঙ্গে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল যোগ হয়ে শেরপুরের এই বন্যা দেখা দিয়েছে।
অনেক স্থানে পাহাড়ি ঢলের পানির প্রবল তোড়ে ভেঙে গেছে ঘরবাড়ি, গাছপালা। তলিয়েছে ফসলের খেত, ভেসে গেছে মাছের পুকুর ও ঘের। অনেক বাড়িতে রান্না-খাওয়া বন্ধ রয়েছে।
উপজেলা প্রশাসন, ফায়ার সার্ভিস ও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন পানিবন্দি মানুষকে উদ্ধারের জন্য কাজ করছে। বানভাসী মানুষ উচু স্থানে ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আশ্রয় নিয়েছে।
এ বিষয়ে শেরপুরের জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমান শনিবার সকালে বলেন, পানিবন্দী মানুষকে উদ্ধারের জন্য ঢাকা ও ময়মনসিংহ থেকে আসা স্বেচ্ছাসেবীরা এবং উপজেলা প্রশাসন, ফায়ার সার্ভিসের সদস্য ও স্থানীয় স্বেচ্ছা সেবীরা কাজ করছে।
বন্যার্তদের সহায়তার জন্য সব ধরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শুকনো খাবার বিতরণের কাজ চলছে।
তবে শনিবার সকালে ভারী বৃষ্টি না হওয়ায় নদীর পানি ও বন্যাকবলিত এলাকার পানি কমতে শুরু করেছে বলেও জানান জেলা প্রশাসক।
পুরানো খবর
শেরপুরের বন্যার পানিতে বৃদ্ধের মৃত্যু
বৃষ্টি আর উজানের ঢলে শেরপুরের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত