ঈদযাত্রা: পাটুরিয়ায় যানবাহনের অপেক্ষায় ফেরি, ভিড় নেই লঞ্চেও

ঘাট তত্ত্বাবধায়ক বলেন, “লোকাল গাড়িতে প্রচুর যাত্রী এসে লঞ্চে পাড় হন। অথচ এখন যাত্রী নেই বললেই চলে। এবার ঈদ ঈদ মনে হচ্ছে না।”

দরজায় কড়া নাড়ছে ঈদ। অথচ যাত্রী ও যানবাহনের চাপ নেই মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ফেরি ঘাটে।

একসময় ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজট আর ফেরির অপেক্ষায় থাকতে হলেও পদ্মা সেতু চালুর পর থেকে পাল্টে গেছে ফেরি ঘাটটির চিত্র।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, পাটুরিয়ার ৪ নম্বর ফেরি ঘাটে যানবাহনের অপেক্ষায় দীর্ঘ সময় বসে রয়েছে ফেরি ‘বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান’। অনেক সময় ধরে বসে থেকে ঘাট ছেড়ে যায় ফেরিটি। এরপরই যানবাহনের জন্য দীর্ঘ সময় ধরে অপেক্ষায় ফেরি ‘শাহ আলী’।

এর আগে ৩ নম্বর ফেরিঘাটে ‘হাসনা হেনা’ নামের ফেরিটিও দীর্ঘ সময় যানবাহনের অপেক্ষায় থেকে দৌলতদিয়া ঘাটের উদ্দেশে ছেড়ে যায়।

কর্তৃপক্ষ জানায়, যাত্রী পরিবহনের জন্য পাটুরিয়া থেকে দৌলতদিয়া রুটে ৩০টি লঞ্চ, আরিচা থেকে কাজীরহাট নৌপথে ১৩টি লঞ্চ এবং একই নৌপথে ৪১টি স্পিডবোট চলাচল করছে।

ফেরি পারাপারে ‘লুজ যাত্রী কালেকশন’ ব্যবস্থাপক বাদল হোসেন বলেন, “ঘাটে এত কম যাত্রী হবে কখনো ভাবিনি। আজ যে অবস্থা, স্টাফদের বেতনের টাকাও উঠবে না। কিছুক্ষণ আগে একটি ফেরি পূর্ণ হয়ে ঘাট ছাড়তে ১ ঘণ্টা সময় লেগেছে । তবে আশায় আছি, পোশাক কারখানা ছুটি হলে যাত্রীসংখ্যা বাড়বে।”

এদিকে চাপ নেই লঞ্চ ঘাটেও। এক সময় যাত্রীদের চাপে ঘাটে কোনো লঞ্চই অপেক্ষায় থাকতো না। অথচ ঈদযাত্রায় রোববার সরেজমিনে ১০ থেকে ১২টি লঞ্চ ঘাটে নোঙর করা অবস্থায় দেখা গেছে।

মেসার্স রুমা এন্টারপ্রাইজ নামে লঞ্চের জুনিয়র স্টাফ সুমন বেপারী বলেন, “এক সময় ১৫ মিনিটে ১২০০-১৪০০ যাত্রী হতো আর এখন ১০০ যাত্রীও হয় না। লঞ্চ বসেই আছে, আমরাও বসে আছি।

ঘাট তত্ত্বাবধায়ক পান্না লাল নন্দী বলেন, “লোকাল গাড়িতে প্রচুর যাত্রী এসে লঞ্চে পাড় হন। অথচ এখন যাত্রী নেই বললেই চলে। এবার ঈদ ঈদ মনে হচ্ছে না।”

বিআইডব্লিউটিসির পাটুরিয়ার এজিএম আব্দুস সালাম বলেন, “রোববার থেকে ১৩টি ফেরি প্রস্তুত রয়েছে। ভোগান্তি ছাড়াই পদ্মা পার হচ্ছেন যাত্রীরা। তবে ফেরি অনেক সময় যানবাহনের জন্য বসে থাকে। এখন ঈদের সময়, অথচ যানবাহন অনেক কম।”

বিআইডব্লিউটিসির আরিচা কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) শাহ মো. খালেদ নেওয়াজ বলেন, “ঈদে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া এবং আরিচা নৌপথ দিয়ে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১টি জেলার কয়েক লাখ মানুষ নদী পার হয়ে বাড়ি ফেরেন। ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়ায় চারটি এবং আরিচা-কাজীরহাট নৌপথে দুটি ঘাট প্রস্তুত রয়েছে। কোনো ভোগান্তি নেই।”