ভারতের কাছে ক্ষমতা নিলেও পানি নিতে পারেনি আওয়ামী লীগ: গয়েশ্বর

তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি ও মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে নদীপাড়ে ৪৮ ঘণ্টা অবস্থান কর্মসূচির শেষ দিনের সমাবেশে এ কথা বলেন তিনি।

আওয়ামী লীগ ভারতের কাছে ক্ষমতা নিতে পারলেও পানি নিতে পারেনি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে বেইমানি করেছে দাবি করে তিনি বলেন, “ভারতের মদদে বিনা ভোটে সরকার গঠন করেছিল আওয়ামী লীগ। বিদেশে টাকাও পাচার করেছে আওয়ামী লীগ। তবে ভারতের কাছে ক্ষমতা নিলেও পানি নিতে পারেনি আওয়ামী লীগ।”

তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি ও মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে নদীপাড়ে ৪৮ ঘণ্টার অবস্থান কর্মসূচির শেষ দিন মঙ্গলবার বেলা ৩টায় হাতীবান্ধা উপজেলায় তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।

এর আগে সকাল ১০টায় ‘তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের’ ব্যানারে লালমনিরহাট সদরের তিস্তা সেতু থেকে রংপুরের কাউনিয়া অভিমুখে পদযাত্রা শুরু হয়। পরে কাউনিয়া থেকে পদযাত্রাটি আবার তিস্তা সেতুতে এসে শেষ হয়। এতে হাজার-হাজার মানুষের অংশগ্রহণ করেন।

পদযাত্রা শেষে দুপুর ১২টায় তিস্তার হাঁটু পানিতে নেমে ভারতীয় আগ্রাসনের প্রতিবাদে আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীর দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য প্লাকার্ড প্রদর্শন করেন আন্দোলনকারীরা।

বেলা ৩টায় ডালিয়া পয়েন্টে সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, “আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী ভাটির দেশ নদীর পানির মালিক। ভারতের আগ্রাসনে তিস্তা এখন আর নদী নেই, খাল বলা যায়।”

অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, “সংস্কারের জারি গান মানুষ আর কয় না। সংস্কার করার ক্ষমতা এই সরকারের নেই। প্রয়োজনে ঐক্যের গণস্বাক্ষর করে রাখা যেতে পারে। যারাই ক্ষমতায় আসবে তারা জনগণের কাঙ্ক্ষিত সংস্কারগুলো করবে।

“এ ছাড়া সংস্কারের কোনও সুযোগ নেই অন্তর্বর্তী সরকারের। ১/১১-তেও সংস্কার আলোচনা ছিল কিন্তু করতে পারেনি। কারণ সংস্কার একমাত্র নির্বাচিত সরকারই করতে পারে।”

তিনি বলেন, “রাজনৈতিক দলগুলো সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছে, সেগুলো করেন না। দেশের মানুষ সংস্কার নয়, দ্রুত সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন চায়। তিস্তা নদীর সমস্যার সমাধানেও নির্বাচিত সরকার দরকার। যে সরকার যখন ক্ষমতায় আসবে তখন তারা সেই কাজই করবে জনগণের স্বার্থে।

সংস্কারের জারি গান বাদ দিয়ে দ্রুত নির্বাচন দিয়ে নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের দাবি জানান বিএনপির এই নেতা।

‘জাগো বাহে তিস্তা বাঁচাই’ আন্দোলনের শেষ দিনের অবস্থান কর্মসূচির সমাবেশে এতে কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য হাসান রাজিব প্রধান, নীলফামারী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আলমগীর সরকার, হাতীবান্ধা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মোশাররফ হোসেন, সদস্যসচিব আফজাল হোসেন মিয়া উপস্থিত ছিলেন।

তিস্তা নদী রক্ষার পদযাত্রায় মানুষের ঢল

তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলন: 'এই নদী বাঁচলে উত্তরাঞ্চলের কৃষক বাঁচবে

তিস্তা পাড়ে দিনভর মানুষের ঢল, 'আগে ছিল আশীর্বাদ, এখন অভিশাপ'

তিস্তাপাড়ের মানুষের মতামতের ভিত্তিতে হবে মহাপরিকল্পনা: রিজওয়ানা