“ধর্ষণ চেষ্টায় সময় শিশুটি চিৎকার করলে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর পাশের পুকুরের কচুরিপানার নিচে লাশ গুম করা হয়।”
Published : 28 Feb 2025, 02:01 PM
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে নিখোঁজের তিনদিন পর একটি পুকুর থেকে এক স্কুল ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে; যাকে ধর্ষণ চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এ ঘটনায় গ্রেপ্তার আইক্রিম বিক্রেতা সাব্বির খানের দেওয়া তথ্যে বৃহস্পতিবার রাত দেড়টার দিকে উপজেলার পূর্ব রশুনিয়া গ্রামের পুকুর থেকে শিশু ফাতেমা আক্তারের লাশ উদ্ধার করা হয় বলে সিরাজদিখান থানার ওসি শাহেদ আল মামুন জানান।
এদিকে খবরটি ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী শুক্রবার সকালে একই উপজেলার তাজপুর এলাকায় সাব্বির খানের (২৪) বাড়িঘরে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে।
পূর্ব রশুনিয়ার গ্রামের কুয়েত প্রবাসী শহিদুল ইসলামের মেয়ে নিহত ফাতেমা আক্তার রশুনিয়া মাহমুদিয়া নূরানীয়া মাদ্রাসার প্রথম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
সিরাজদিখান থানার ওসি শাহেদ আল মামুন বলেন, “মঙ্গলবার রাতে খালার সঙ্গে বাড়ির পাশের রশুনিয়া নূরানীয়া মোহাম্মদীয়া মাদ্রাসার ওয়াজ মাহফিলে যায় ফাতেমা। পরে সেখানে থাকবে বলে সে বায়না ধরে। পরে তার খালা ফাতেমার বড় ভাই মাদ্রাসার নাজেরা বিভাগের ছাত্র ইসমাইলের (৯) কাছে তাকে রেখে আসে। কিন্তু ইসমাইল ওয়াজের কাজ নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়লে ফাতেমা খেলার ছলে রাস্তার দিকে গিয়ে নিখোঁজ হয়।
“পরে স্থানীয়রা আইসক্রিম বিক্রেতা সাব্বির খানকে সন্দেহভাজন হিসাবে আটক করে পুলিশে দেয়। পরদিন ফাতেমার মা বিলকিস বেগম বাদী হয়ে সাব্বিরকে প্রধান আসামি করে সিরাজদিখান থানায় অপহরণ মামলা করেন। মামলার পর পুলিশ সাব্বিরকে গ্রেপ্তার করে আদালতে নিলে তার দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়।”
ওসি শাহেদ বলছেন, “বৃহস্পতিবার রিমান্ডে থাকাকালীন সাব্বির পুলিশের কাছে স্বীকার করে বলেন যে, ধর্ষণ চেষ্টায় সময় শিশুটি চিৎকার করলে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর পাশের পুকুরের কচুরিপানার নিচে লাশ গুম করা হয়।”
স্থানীয় ও স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তিন বোন এক ভাইয়ের মধ্য ফাতেমা সবার ছোট ছিল। তার বাবা ছুটিতে এসে নিখোঁজের ১৫ দিন আগে আবার কুয়েতে ফিরে গেছেন। পরিবারটিতে শোকের মাতম চলছে।