নিখোঁজের একদিন পর সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার যমুনা নদীর চরে বালুর নিচে চাপা দেওয়া অবস্থায় এক শিশুর গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
রোববার সকালে উপজেলার পশ্চিম জোতপাড়া এলাকার যমুনা নদীর চর থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয় বলে চৌহালী থানার ওসি হারুন অর রশিদ জানান।
নিহত তানজিদ সরকার গাজীপুরের গাছা উপজেলার কুনিয়া গ্রামের লতিফ সরকারের ছেলে। নয় বছরের তানজিদ স্থানীয় স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র ছিল।
এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার তেবাড়িয়া পূর্বপাড়ার মাখন মিয়ার ছেলে সোহাগকে (২০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোহাগ তানজিদদের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন।
ওসি হারুন অর রশিদ জানান, শিশু তানজিদ সরকার শনিবার সকালে বাড়ি থেকে ঘুরতে বের হয়ে আর ফেরেনি।
পরে শিশুটি সোহাগের সঙ্গে ঘুরতে বেরিয়েছে জানতে পেরে তার বিরুদ্ধে গাজীপুরের গাছা থানায় মামলা দায়ের করেন তানজিদের স্বজনরা।সোহাগের সঙ্গে ভাড়া নিয়ে শিশুটির পরিবারের দ্বন্দ্ব চলছিল।
পরে গাছা থানা পুলিশ রোববার ভোরে সোহাগকে গ্রেপ্তার করলে, তার দেওয়া তথ্যমতে চৌহালী থানা পুলিশের সহায়তায় ঘটনাস্থল থেকে শিশু তানজিদের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
“শিশুটিকে গলাকেটে হত্যার পর যমুনা নদীর চরে বালুর নিচে চাপা দিয়ে রাখা হয়েছিল।”
লাশ উদ্ধারের পর গ্রেপ্তার সোহাগকে নিয়ে গাছা থানা পুলিশের সদস্যরা চলে গেছেন বলে জানান ওসি।