ময়মনসিংহ শহরে পাঁচ দিন আগে পুকুরে মাটিচাপা দেওয়া অবস্থায় ৩০ বছর বয়সী নারীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
Published : 19 Jun 2024, 08:17 PM
ময়মনসিংহে মানসিক ভারসাম্যহীন নারীকে হত্যার পাঁচ দিনের মাথায় পুরো ঘটনার আদ্যোপান্ত জানতে পারার দাবি করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার করা হয়েছে তিনজনকে।
বুধবার কোতোয়ালি মডেল থানা কার্যালয় থেকে পাঠানো পুলিশের বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা জানানো হয়।
গত ১৪ জুন সদর উপজেলায় চর নিলক্ষীয়া ইউনিয়নের সাঁথিয়াপাড়া উজানপাড়া এলাকায় পুকুরে মাটিচাপা দেওয়া অবস্থায় ৩০ বছর বয়সী সেই নারীর বিবস্ত্র মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহতের মা এরপর অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা করেন।
সোমবার রাতে চর নিলক্ষীয়া এলাকা থেকে দুইজনকে এবং মঙ্গলবার সকালে নগরীর মাসকান্দা থেকে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উজানপাড়া মাজার থেকে ডেকে নিয়ে গ্রেপ্তার হওয়া তিন যুবকের দুইজন সেই নারীকে ধর্ষণ করেন। তৃতীয়জন পানিতে মাথা চুবিয়ে ধরে হত্যার পর মরদেহ পুকুরের একপাশে মাটিচাপা দেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, সদর উপজেলার কোনাপাড়া কইট্রার মোড় এলাকার মো. আল আমিন ও রুহুল আমিন এবং চর নিলক্ষীয়া সাঁথিয়াপাড়া বড়বাড়ী এলাকার আব্দুল্লাহ ওরফে জাকিরুল ইসলাম।
মঙ্গলবার তিন যুবক ধর্ষণ ও হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।
কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক আনোয়ার হোসেন বলেন, ঘটনার দিন মানসিক ভারসাম্যহীন নারীকে স্থানীয়রা আবদুল্লাহর সঙ্গে দেখেছিল। সেই সূত্র ধরে তাকে প্রথমে গ্রেপ্তার করা হয়। তারপর রুহুল আমিন ও আল আমিনকে ধরা হয়।
আসামিদের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, গত ১২ জুন রাতে চর নিলক্ষীয়া উজানপাড়া মাজার থেকে সেই নারীকে ডেকে মাজারের পাশে থাকা শুকনা পুকুর পাড়ে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রথমে রুহুল আমিন এবং আব্দুল্লাহ ওরফে জাকিরুল তাকে ধর্ষণ করেন।
বৃষ্টি আসায় তারা দুইজন সেই নারীকে আল আমিনের সঙ্গে মাজারে রেখে চলে যান। বৃষ্টি কমে গেলে আল আমিনও একই স্থানে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করার চেষ্টা করেন। ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে তাকে হত্যা করা হয়।
পুলিশ পরিদর্শক আনোয়ার হোসেন বলেন, আসামিরা আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। পরে আদালত তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।