দাফনের আগে আবদুল্লাহকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে গার্ড অফ অনার প্রদান করা হয়।
Published : 15 Nov 2024, 04:00 PM
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহত আবদুল্লাহ তার নানা-নানীর কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত আবদুল্লাহ।
শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে যশোরের বেনাপোলে নানা বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী নাজিব হাসান।
এর আগে সকাল সাড়ে ১০ টায় যশোরের শার্শা উপজেলার বেনাপোল বলফিল্ড মাঠে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় দলমত নির্বিশেষে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন। জানাজায় ইমামতি করেন মুফতি মাওলানা সায়েদুল বাসার।
দাফনের আগে আবদুল্লাহকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে গার্ড অফ অনার প্রদান করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী নাজিব হাসান, শার্শা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক খায়রুজ্জামান মধু, যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল হাসান জহির, বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামির কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদের সদস্য মাওলানা আজিজুর রহমান, জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা হাবিবুর রহমান, বেনাপোল পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবু তাহের ভারত, বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শামছুর রহমান ও সাবেক সভাপতি মফিজুর রহমান সজন।
২৩ বছর বয়সী আব্দুল্লাহ যশোরের শার্শা উপজেলার বেনাপোল পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ড বড়আচড়া গ্রামের টার্মিনাল পাড়ার আব্দুল জব্বারের ছেলে। তিনি রাজধানীর সরকারি সোহরাওয়ার্দী কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে প্রথম থেকেই সক্রিয় থাকা আব্দুল্লাহ ৫ অগাস্ট সন্ধ্যায় ঢাকার তাঁতীবাজার মোড়ে মাথায় গুলিবিদ্ধ হন। তিন মাস পর বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা সিএমএইচে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
পরে শুক্রবার রাত ২টার দিকে আব্দুল্লাহর মরদেহ ঢাকা থেকে নৌ-বাহিনীর একটি এ্যাম্বুলেন্সে করে গ্রামে পৌঁছালে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। আত্মীয় স্বজনদের আহাজারি আর শোকে এলাকার পরিবেশ ভারী হয়ে উঠে।
স্বজনরা জানান, বাবার সহযোগিতায় আর নিজ চেষ্টায় লেখাপড়া করে এতদূর পর্যন্ত গিয়েছিলেন আবদুল্লাহ। মেধা ও আচরণের কারণে গ্রামে সবার প্রিয় ছিলেন তিনি।
আবদুল্লাহ ঢাকায় বোনের বাসায় থেকে লেখাপড়া করতেন। তাকে ঘিরে আকাশসম স্বপ্ন ছিল দরিদ্র বাবা-মা ও ভাই-বোনদের। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে তাকে হারিয়ে মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়েছে পরিবারটির।
আগের সংবাদ