ধাপেরহাট ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি প্রার্থী মাসুদ রানা প্রামাণিক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন।
Published : 09 Feb 2025, 11:59 PM
গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরের একটি ইউনিয়নে বিএনপির কাউন্সিলে সভাপতি পদে ফলাফল ঘোষণায় অনিয়ম ও জালিয়াতির অভিযোগ করেছেন এক সভাপতি প্রার্থী।
ধাপেরহাট ইউনিয়নের ওই কাউন্সিল নিয়ে রোববার দুপুরে সাদুল্লাপুর প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন ওই ইউনিটের সভাপতি প্রার্থী মাসুদ রানা প্রামাণিক।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, গত ৪ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন বিএনপির কাউন্সিলে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে স্থানীয় হিংগারপাড়া গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজে ব্যালটে ভোট গ্রহণ করা হয়। এতে তিনি চশমা প্রতীক নিয়ে অংশ নেন। নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক জেলা বিএনপির উপদেষ্টা সামিয়ূর রহমান ও অপর দুই সদস্যের তত্ত্বাবধানে এ ভোটগ্রহণ করা হয়।
পরে গণনা শেষে তার চশমা প্রতীকের প্রাপ্ত ভোট ২১৭ এবং প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আমিনুর রহমান মিলনের আনারস প্রতীকের প্রাপ্ত ভোট ২১৭ হওয়ায় ফলাফল অমীমাংসিত রেখে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়কসহ অন্যান্যরা ভোটকেন্দ্র ত্যাগ করেন।
মাসুদ রানা বলেন, “পরদিন ৫ ফেব্রুয়ারি সকালে নির্বাচন কমিটির আহ্বায়ক আমাকে ফোনে জানান সভাপতি পদের চূড়ান্ত ফলাফলের জন্য রংপুর বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সহসাংগঠনিক সম্পাদকের কাছে বসা হবে। এজন্য তিনি আমাকে রংপুরের কাউনিয়া উপজেলায় উপস্থিত থাকতে বলেন।
“৫ ফেব্রুয়ারি দুপুর ১টায় আমি উপস্থিত হলে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক আমার একটি বৈধ ভোট বাতিল করেন। এবং প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মিলনকে সভাপতি পদে এক ভোটে বিজয়ী ঘোষণা করেন।”
তার অভিযোগ, “পরবর্তীতে আমি জানতে পারি, বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমার প্রতিপক্ষ প্রার্থী মিলনের নিকটাত্মীয়। যার সঙ্গে যোগসাজশে এই বিতর্কিত ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে।”
তিনি বলেন, “শুধু তাই নয়, ৫ ফেব্রুয়ারি সকাল বেলায় স্থানীয় এক ব্যক্তি ভোটকেন্দ্রে আমার চশমা প্রতীকে সিল মারা একটি ব্যালট পেপার কুড়িয়ে পান। এ ব্যালট সংগ্রহ করে কাউনিয়ায় গিয়ে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়কে দেখানো হয়। তিনি এ ভোটও আমলে নেননি। মূলত তিনি বিভিন্নভাবে প্রভাবিত হয়ে নানা অনিয়ম ও কৌশলের আশ্রয় নিয়ে আমাকে পরাজিত ঘোষণা করেন।”
এ সময় তিনি এ ফলাফল বর্জন করে বাতিল করা ভোটটি বৈধ ঘোষণার দাবি জানান।
দুই প্রার্থীর ভোট সমান হওয়ার কথা স্বীকার করে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক জেলা বিএনপির উপদেষ্টা সামিয়ূর রহমান বলেন, “একটি ব্যালটে চশমা প্রতীকের সিল অন্য একটি প্রতীকে ছাপ পড়ায় বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদকের পরামর্শ মোতাবেক ওই ভোটটি বাতিল করে ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে।”
এ বিষয়ে জানতে রংপুর বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক আমিনুল ইসলামের মোবাইল ফোনে কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।