এর আগে বুধবার মেয়েদের হোস্টেল থেকে দুটি মনিটরসহ ১৬টি সিসি ক্যামেরা জব্দ করে পুলিশ।
Published : 13 Apr 2025, 06:15 PM
যশোরের শার্শা উপজেলার একটি কওমি মহিলা মাদ্রাসার হোস্টেলে ছাত্রীদের শোবার কক্ষে সিসি ক্যামেরা পাওয়ার ঘটনায় মাদ্রাসাটি বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
শনিবার স্থানীয় প্রশাসন ও কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের যৌথ সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাজী নাজিব হাসান।
বন্ধ ঘোষণা করা ফাতিমাতুজ্জোহরা কওমি মহিলা মাদ্রাসাটি উপজেলার নাভারণ উত্তর বুরুজবাগানে অবস্থিত। মাদ্রাসাটি বন্ধের পাশাপাশি সব শিক্ষার্থীকে পরিবারের কাছে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এর আগে বুধবার এক অভিভাবকের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ওই মাদ্রাসার মেয়েদের হোস্টেল থেকে দুটি মনিটরসহ ১৬টি সিসি ক্যামেরা জব্দ করে পুলিশ।
সেদিন যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নাভারণ-সার্কেল) নিশাত আল নাহিয়ান বলেছিলেন, “সংরক্ষিত ফুটেজ বিশ্লেষণ করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
পরে শুক্রবার শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ এবং কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের নেতাদের উপস্থিতিতে মাদ্রাসাটি বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় মাদ্রাসার পরিচালক মাওলানা তরিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। তিনি নিজের ভুল স্বীকার করে প্রশাসনের কাছে লিখিত দিয়েছেন।
ইউএনও কাজী নাজিব হাসান বলেন, বৈঠকে কওমি বোর্ডের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি মাওলানা আনোয়ারুল কামির যশোরীসহ ৩০ জন নেতা উপস্থিত ছিলেন।
মাওলানা আনোয়ারুল কামির বলেন, “কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড ভবিষ্যতে মাদ্রাসাটির বিষয় নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। তবে এখন থেকে কোনো মেয়েদের মাদ্রাসায় সিসি ক্যামেরা ব্যবহার না করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।”
ঘটনার দিন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নিশাত আল নাহিয়ান বলেন, “কওমি মাদ্রাসার পাঁচতলা ভবনের নিচতলায় দুই শিক্ষক থাকেন। ওপরের চারটি তলায় আবাসিক থেকে মেয়েরা লেখাপড়া করে। মেয়েদের শয়নকক্ষে দুটি করে নাইট ভিশন ক্যামেরা স্থাপন করা ছিল।
“ওই ক্যামেরার মনিটর শিক্ষকের কক্ষে ছিল। পরে নারী পুলিশ সদস্য দিয়ে এগুলো জব্দ করা হয়। সেখানে এক মাসের ফুটেজের রেকর্ড পাওয়া গেছে। সেগুলো যাচাই-বাছাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”