ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলায় স্বামীকে জবাই করে হত্যায় জড়িত সন্দেহে এক নারীকে আটক করেছে পুলিশ।
রোববার শেষ রাতের দিকে উপজেলার মধ্য পুটয়াখালি গ্রাম থেকে তাকে আটক করা হয় বলে রাজাপুর-কাঁঠালিয়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. মাসুদ রানা জানান।
নিহত রবিউল আউয়াল তালুকদার (৩৯) গ্রামের প্রয়াত আব্দুর রহমান তালুকদারের ছেলে। পেশায় তিনি একজন অটোরিকশা চালক ছিলেন।
২০০৫ সালে রবিউল ও সাফিয়া বেগম (৩২) ভালবেসে ঢাকায় বিয়ে করেন। সাফিয়া নৈলা থানার মাঝির হাট ইউনিয়নের নসাশন গ্রামের প্রয়াত নজরুল ইসলাম মুন্সির মেয়ে। এই দম্পতির দুই ছেলে সন্তান রয়েছে। বড় ছেলে (১৬) নবম শ্রেণিতে এবং ছোট ছেলে (১২) ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ে।
থানা হেফাজতে থাকা সাফিয়াকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে এএসপি মাসুদ জানান, কিছুদিন ধরেই রবিউল ও সাফিয়ার মধ্যে পারিবারিক কলহ চলছিল। এর জেরে রোববার রাতে সাফিয়া খাবারের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দেন রবিউলকে।
“রাত দেড়টার দিকে ঘুমের মধ্যে হাত-পা ও মুখ বেঁধে ছুরি দিয়ে রবিউলকে জবাই করেন সাফিয়া। পরে ৯৯৯-এ ফোন করে ঘটনাটি পুলিশকে জানান।”
এএসপির ভাষ্য, “সাফিয়া দাবি করেছেন, রবিউল আড়াই মাস আগে আরেকটি বিয়ে করেছেন এবং ওই স্ত্রীকে জমিজমা লিখে দিয়েছেন। এই ক্ষোভে তিনি হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন।”
পুলিশ রাত ৩টার দিকে সাফিয়াকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। রবিউলের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঝালকাঠি সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
রাজাপুর থানার ওসি পুলক চন্দ্র রায় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই আবুল হোসেন তালুকদার হত্যা মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।