“পদ্মার পাড়ে রাসেলস ভাইপারের আনাগোনা বেড়েছে। আমাকে কামড় দেওয়ার পর থেকে অনেক মানুষ কাজে যাচ্ছে না। তারপরও পেটের দায়ে কাজ যেতে হয়।”
Published : 06 Jul 2024, 12:50 PM
মাদারীপুরের শিবচর উপজেলায় রাসেলস ভাইপারের কামড়ে আহত এক কৃষক অ্যান্টিভেনম নেওয়ার পর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
অ্যান্টিভেনম দেওয়ার পর দুই দিন পর্যবেক্ষণে রেখে তাকে ছাড়পত্র দেওয়া হয় জানিয়েছেন শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার মো. ইব্রাহিম হোসেন।
এর আগে ১ জুলাই দুপুরে উপজেলার চরজানাজাত ইউনিয়নের উত্তর চর জানাজাত এলাকায় কৃষক সুলতান বেপারিকে (৫২) রাসেলস ভাইপার কামড় দেয় বলে জানান তিনি।
স্থানীয়রা জানান, সম্প্রতি পদ্মার চরাঞ্চলে রাসেলস ভাইপারসহ বিষধর সাপের উপদ্রব বেড়েছে। ঘটনার দিন দুপুরে নদীতে পাট জাগ দিতে যান সুলতান। এ সময় রাসেলস ভাইপার তার হাতে কামড় দেয়।
সঙ্গে সঙ্গে অন্য কৃষকেরা সুলতানের হাত বেঁধে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে চিকিৎসকেরা নিশ্চিত হন যে, সুলতানকে রাসেলস ভাইবার কামড় দিয়েছে।
তাৎক্ষণিক মেডিকেল বোর্ড গঠন করে সুলতানকে অ্যান্টিভেনম দেওয়া হয়। প্রায় আড়াই ঘণ্টা পর তিনি সুস্থ হন। হাসপাতালে তাকে আরও দুই দিন পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। সম্পূর্ণ সুস্থ হওয়ার পর ৩ জুলাই বিকালে তাকে বাড়ি পাঠান চিকিৎসকেরা।
সুলতান বেপারি বলেন, “পদ্মার পাড়ে রাসেলস ভাইপারের আনাগোনা বেড়েছে। চরে অনেক সাপ আছে। প্রায় এ সাপ সামনে পড়ছে। আমাকে কামড় দেওয়ার পর থেকে অনেক মানুষ কাজে যাচ্ছে না। সবাই আতঙ্কে আছে। তারপরও পেটের দায়ে কাজ যেতে হয়।”
শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ইব্রাহিম হোসেন বলেন, “প্রথম দিকে ওই কৃষকের অবস্থা ভালো ছিল না। অ্যান্টিভেনম দেওয়ার পর সন্ধ্যার দিকে তার অবস্থা উন্নতির দিকে যায়। এরপর দুই দিন পর্যবেক্ষণে রেখে তাকে বাড়ি পাঠানো হয়।”
শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কর্মকর্তা (ইউএনও) বলেন, মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন, “শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৪০টির বেশি অ্যান্টিভেনম রয়েছে। এখানে আরও অ্যান্টিভেনম মজুত রাখার জন্য আমরা চেষ্টা করছি।”
এলাকায় সচেতনতামূলক সভা করা হচ্ছে, যাতে সাপ কামড় দেওয়া রোগীকে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হয় বলে জানান তিনি।