যোগাযোগহীনতায় স্বজনরা জোর দিচ্ছেন আটকেপড়াদের উদ্ধারে। ফেনীর পরশুরাম ও ফুলগাজী এখনও বিচ্ছিন্নই বলা চলে। সেখানেও মানুষের আটকে থাকার খবর পাওয়া যাচ্ছে।
Published : 25 Aug 2024, 01:58 AM
বন্যায় কুমিল্লার সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত বুড়িচংয়ের শিকারপুর গ্রামে একটি পরিবারের ১০ সদস্য বৃহস্পতিবার গভীর রাত থেকে বাড়ির তিনতলা ছাদে আটকা পড়ে আছেন। শনিবার পর্যন্ত তাদের কেউ উদ্ধার করতে যায়নি।
দুপুরে ওই পরিবারের সদস্য কুমিল্লা শহরের বাসিন্দা নাজমুল হোসেন বলেন, “সামান্য একটু খাবার পানি নিয়ে বাড়ির ছাদে আমার ভাই মো. লিটন ও পরিবারের ১০ জন সদস্য আটকে আছেন। তাদের দুদিনেও উদ্ধার করতে পারিনি। শনিবার সকাল পর্যন্ত তারা আমার সঙ্গে কথা বলতে পেরেছেন। তিনতলার ছাদে থাকায় পানি এখনও তাদের স্পর্শ করতে পারেনি।
“তবে মোবাইল ফোন বন্ধ হওয়াতে এখন যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় আছে। শিকারপুর যেখানে আমাদের বাড়ি সেখানে যোগাযোগব্যবস্থা একেবারেই নেই বললেই চলে। সব পানিতে ডুবে আছে। কেউ যেতে পারছে না।”
নাজমুল নিজেও বন্যার্তদের উদ্ধারে কাজ করছেন, ত্রাণ দিচ্ছেন; অসহায়ের মত তিনি বলছিলেন, “আমি মানুষকে উদ্ধার করছি, কিন্তু আমার পরিবারকে উদ্ধার করতে পারছি না। শিকারপুরের দিকে কোনো নৌকা যাচ্ছে না। সেদিকে স্রোত বেশি হওয়াতে যেতে সমস্যা হচ্ছে।”
শেষ পর্যন্ত জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নাজমুল নিজের পরিবারকে উদ্ধারে শিকারপুরে যাচ্ছেন বলে জানান। তিনি বলেন, “আমি চেষ্টা করছি পরিবারকে উদ্ধারে সেদিকে যেতে। সবাই দোয়া করবেন। আমার পরিবারের সদস্যদের মতো গ্রামের ৪০০ থেকে ৫০০ মানুষ আটকা পড়ে আছেন।”
শুধু শিকারপুর নয়। ভারত থেকে আসা পাহাড়ি ঢল ও টানা বৃষ্টিতে কুমিল্লার গোমতী নদীর বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হওয়া বুড়িচং উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের অনেক গ্রামেই দুদিন ধরে এমন প্রচুর মানুষ আটকা পড়ে আছেন; যাদের উদ্ধারের জন্য স্বজনরা বারবার আহ্বান জানলেও এখনও কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
কুমিল্লা ছাড়াও ফেনীর ছাগলনাইয়া, ফুলগাজী ও পরশুরাম এই তিন উপজেলা পুরোটাই বন্যাকবলিত। পানিতে প্লাবিত হয়েছে সদর উপজেলার অনেক এলাকাও। পরশুরাম ও ফুলগাজী উপজেলা এখনও বিচ্ছিন্নই বলা চলে। সেখানে এখনও মানুষের আটকে থাকার খবর পাওয়া যাচ্ছে।
সেনাবাহিনী, ফায়ার সার্ভিসসহ বিভিন্ন সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সাধ্যমত প্রত্যন্ত এলাকার পানিবন্দি মানুষদের উদ্ধারে প্রতিদিন তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। এরমধ্যেই অনেক এলাকায় এখনও প্রচুর মানুষের আটকে পড়ে থাকার সংবাদ মিলছে।
বন্যার উন্নতির আভাসের মধ্যেই ভারি বৃষ্টির সতর্কতা
এদিকে পানি কমতে থাকায় দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতি উন্নতির দিকে যাচ্ছে, বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্রের এমন বার্তার মধ্যেই আরও দুদিন তিন বিভাগে ভারি বৃষ্টির আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
পূর্বাভাস কেন্দ্রের বুলেটিনে বলা হয়েছে, এ সময়ে দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল, পূর্বাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন উজানেও ভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই। এ অঞ্চলের ফেনী, কুমিল্লা ও চট্টগ্রাম জেলার মুহুরী, ফেনী, গোমতী, হালদা নদী সংলগ্ন নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি অব্যাহত থাকতে পারে।
উজানের ঢল আর ভারি বর্ষণে গত কয়েকদিন ধরে ভাসছে ফেনী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, নোয়াখালী, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, সিলেট, লক্ষ্মীপুর ও কক্সবাজার জেলা। এতে এখন পর্যন্ত ১৮ জনের মৃত্যুর তথ্য জানিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়।
তাদের তথ্য অনুযায়ী, অতিভারি বৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢলে আকস্মিক এই বন্যায় শনিবার দুপুর পর্যন্ত ১১ জেলায় ৪৯ লাখ ৩৮ হাজার ১৫৯ জন মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
শুধু বুড়িচংয়েই পানিবন্দি ১ লাখ
এর মধ্যে কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলায় পানিবন্দি এমন মানুষের সংখ্যা সরকারি হিসেবে প্রায় ৪৫ হাজার বলা হলেও; স্থানীয়রা বলছেন, এ সংখ্যা এক লাখের কম হবে না। আর উপজেলা প্রশাসনের হিসাবে, শনিবার পর্যন্ত আশ্রয়কেন্দ্রে এসেছে সবমিলিয়ে মাত্র ১১ হাজারের মত মানুষ।
বাকি পানিবন্দি মানুষেরা বৃহস্পতিবার গভীর রাত থেকে মূলত বাড়ির ছাদে বা উঁচু কোনো স্থানে আশ্রয় নিয়ে কোনোভাবে দিন পার করছেন। কারও কারও কাছে শুকনো খাবার থাকলেও বিশুদ্ধ পানি নেই প্রায় কারো কাছেই। তারা ত্রাণের চেয়ে উদ্ধার করার এবং বিশুদ্ধ পানির বার্তা দিচ্ছেন স্বেচ্ছাসেবকদের কাছে।
যারাই একটু সুযোগ পাচ্ছেন তারা বুক সমান পানি ভেঙে আশ্রয়কেন্দ্রের দিকে ছুটছেন। পরিবারের সদস্য ছাড়াও অনেককে খুব জরুরি জিনিস ও গবাদিপশু নিয়েও নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে যেতে দেখা গেছে। যদিও আশ্রয়কেন্দ্রে আসা মানুষের সংখ্যা পানিবন্দি মানুষের তুলনায় খুবই কম। তবে অনেকে কষ্ট করেও বাড়িতে থাকার চেষ্টা করছেন সম্পদ রক্ষার আশায়।
শনিবার দিনভর বুড়িচং উপজেলার ভরাসার, ইছাপুরা, খাড়াতাইয়াসহ বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে এই দৃশ্য দেখা গেছে।
এ ছাড়া বাঁকশিমুল, মানিকনগর, বুড়বুড়িয়া এলাকার অবস্থাও প্রায় একই রকম বলে জানা গেছে।
খাড়াতাইয়া গ্রামের রেহানা বেগম স্থানীয় একটি আশ্রয়কেন্দ্রে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে রেখেছেন। আবার বাড়ি যাচ্ছেন যদি কিছু কাগজপত্র ও খাবার উদ্ধার করতে পারেন এই আশায়। পথে একটু উঁচু ব্রিজে অপেক্ষা করছেন। কিন্তু বাড়িতে গলা সমান পানি। তাই যাচ্ছেন না তিনি। নৌকা হলে তার সুবিধা হতো। কিন্তু নৌকার দেখা মিলছে না।
তিনি বলছিলেন, “আমাদের গ্রামের অনেকে বিভিন্ন ভবনের ছাদে আশ্রয় নিয়েছেন। তাদের মধ্যে অসুস্থ ও বয়স্ক মানুষ আছেন। তাদের উদ্ধার করতে নৌকা লাগবে। এখন সবচেয়ে বেশি দরকার আটকেপড়া মানুষদের উদ্ধার করা। আশ্রয়কেন্দ্রে বানভাসি মানুষের পাঁচ ভাগও যেতে পারেনি। কারণ এই বন্যা এসেছে হঠাৎ করে। কেউ ভাবতেই পারেনি এভাবে নদীর বাঁধ ভেঙে যাবে।”
কুমিল্লার জেলা প্রশাসক খন্দকার মু. মুশফিকুর রহমান বলেন, “জেলার বন্যাকবলিত উপজেলাগুলোর দুর্গত এলাকার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। বন্যাকবলিত মানুষের জন্য শুকনা খাবার, স্যালাইন ও ওষুধ মজুত আছে। ত্রাণসামগ্রী বিতরণ অব্যাহত আছে। আমরা সার্বক্ষণিক খোঁজ-খবর রাখছি। যারা আটকে পড়েছেন তাদেরকে উদ্ধারে কাজ চলছে।”
‘প্রত্যন্ত এলাকায় ত্রাণ যাচ্ছে না’
বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১২টার দিকে বুড়িচং উপজেলার ষোলনল ইউনিয়নের বুড়বুড়িয়া এলাকার গোমতী নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধের অন্তত ৩০ ফুট এলাকা ধসে লোকালয়ে পানি ঢুকতে শুরু করে। এতে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই প্লাবিত হয়ে যায় পুরো বুড়িচং উপজেলার নয়টি ইউনিয়ন। ৩০ ফুটের সেই ভাঙন শনিবার বিকালে পর্যন্ত ৫০০ ফুটে এসে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) কর্মকর্তারা।
বাঁধ ভাঙনের পর থেকেই বুড়িচংয়ের বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। এরই মধ্যে পুরো উপজেলায় বন্ধ হয়ে গেছে বিদ্যুৎ সরবরাহ। এ ছাড়া উপজেলায় মোবাইল নেটওয়ার্ক ও ইন্টারনেট না থাকার কারণে অধিকাংশ এলাকায় যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। সড়ক তলিয়ে বন্ধ হয়ে গেছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। মাঝে মাঝে তলিয়ে যাওয়া সড়কে ত্রাণ এবং নৌকাবাহী দুই-একটি ট্রাক চলতে দেখা গেছে।
মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্ক সমস্যা পরিস্থিতিকে আরো তীব্র করে তুলেছে। কারণ সঠিক তথ্য না জানায় উদ্ধার তৎপরতায় এবং ত্রাণ বিতরণে সমস্যা হচ্ছে বলেও মনে করছেন স্বেচ্ছাসেবকরা। ফলে প্রত্যন্ত অঞ্চলে ত্রাণ না পেয়ে হাহাকার করছে বানভাসি মানুষ। নারী, শিশু ও বৃদ্ধদের অসুস্থ হওয়ার উপক্রম।
দুপুরে দেখা যায়, কুমিল্লা-বুড়িচং সড়কে অনেক সংগঠন ও ব্যক্তি উদ্যোগে সহায়তা নিয়ে এসেছেন। তবে যারা মাইক্রোবাস নিয়ে এসেছেন তাদের ফিরে যেতে হচ্ছে। কারণ সড়কে বিভিন্ন স্থানে হাঁটু পানি। পানির তীব্র স্রোত। স্বাভাবিকভাবে হাঁটা যায় না। ট্রাক্টর ও পিকআপ নিয়ে মূল সড়কে গিয়ে ত্রাণ দেওয়া যাচ্ছে।
যারা ট্রাকে করে নৌকা নিয়ে এসেছেন তারা গ্রামের ভেতর থেকে লোকজনকে উদ্ধার করতে পারছেন। কুমিল্লা নগরী থেকে একদল শিক্ষার্থী ট্রাক্টর নিয়ে খাড়াতাইয়া এসেছে। তারা সেখানে নারী ও শিশুদের উদ্ধার করে কুমিল্লা নগরীর স্বজনদের কাছে পৌঁছে দেবেন বলে জানান।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে আসা উদ্ধারকর্মী সোহরাব হোসেন শুভ বলেন, “দুইদিন ধরে বুড়িচংয়ের পীরযাত্রাপুর, সাদেকপুর, আনন্দনগর, ইছাপুরা, ষোলনলে ত্রাণ বিতরণ করেছি। খাবার পানি সঙ্কটে মানুষ বেশি কষ্ট পাচ্ছে।”
উপজেলার বাকশিমুল এলাকার বাসিন্দা জহিরুল হক বলেন, “আমাদের এইদিকে অবস্থা ভয়াবহ। মানুষ যা ত্রাণ নিয়ে আসছে নৌযান না থাকায় সেসব ত্রাণ প্রত্যন্ত অঞ্চলে যাচ্ছে না, যা আসছে বেশির ভাগই যারা সামনে আছেন, তারাই পাচ্ছেন। এতে কেউ পাঁচবারও পাচ্ছে, আবার কেউ একবারও পাচ্ছে না।”
জহিরুল নৌকা বা স্পিডবোট নিয়ে এসে প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষদের উদ্ধার এবং তাদের কাছে বিশুদ্ধ পানি ও খাবার পৌঁছানোর পরামর্শ দেন।
‘আমরা নিঃস্ব হয়ে গেছি’
এদিকে বুড়িচংয়ের বন্যার পানিতে কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার একাংশ, ব্রাহ্মণপাড়া ও দেবিদ্বার উপজেলাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়া ঘুংঘুর ও সালদা নদীর পানিতেও তলিয়ে যাচ্ছে ব্রাহ্মণপাড়ার বিভিন্ন এলাকা। এরই মধ্যে উপজেলার শশীদল ইউনিয়নসহ কয়েকটি এলাকা প্লাবিত হয়েছে। সেখানেও বাড়ছে বানভাসি মানুষের হাহাকার।
এখন চারিদিকে থই থই করছে বানের পানি। ঘোলা পানিতে ডুবে গেছে মাছের ঘের, হেক্টর হেক্টর ফসলি জমি, গরুর খামার। পানিতে তলিয়ে আছে ঘরবাড়ি। নিরাপদ আশ্রয় নেওয়া অনেকে সাঁতরিয়ে ভিটেমাটি দেখে আসছেন।
উপজেলার ইছাপুরা গ্রামের গোলাম মোস্তফা দুইদিন ধরে পানিবন্দি। তিনি বলছিলেন, “পানিবন্দি হওয়ার পর কিছু খাবার পেয়েছি। কিন্তু খাবার পানি পাচ্ছি না। খাবার পানি না পাওয়ায় খুব কষ্ট পাচ্ছি। আমাদের বেঁচে থাকার জন্য খাবারের চেয়ে খাবার পানি বেশি জরুরি হয়ে পড়েছে। খুবই কষ্টে দিন পার করছি। আমার ঘরের সব শেষ।”
ষোলনল এলাকার বাসিন্দা আবদুল হামিদ বলেন, “আমার জীবনেও এত পানি কখনো দেখিনি। আমাদের সবকিছু তলিয়ে গেছে। এখন আমরা নিঃস্ব।”
দুপুরে বুড়িচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাহিদা আক্তার বলেন, “পুরো উপজেলায় এখনো পানিবন্দি মানুষের সংখ্যা ৪৩ হাজার ৭৫০। এ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা প্রায় এক লাখ ৭৫ হ্জার।
“শনিবার সকাল ১০টা পর্যন্ত আশ্রয়কেন্দ্রে এসেছেন তিন হাজার পুরুষ, সাড়ে তিন হাজার নারী, চার হাজার শিশু, প্রতিবন্ধী মানুষ ৪৫ এবং ৬০০ গবাদি-পশু। প্রতিনিয়ত মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রের দিকে ছুটে যাচ্ছেন। আমরাও বিভিন্নভাবে আটকেপড়া মানুষদের উদ্ধার করে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়ার চেষ্টা করছি।”
জেলার সিভিল সার্জন নাসিমা আক্তার বলেন, “বন্যাকবলিত এলাকায় ২২৭টি চিকিৎসক দল কাজ করছে। জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে দায়িত্ব পালন করছেন তারা। বিশেষ করে আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে আমাদের দল বেশি কাজ করছে।”
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. আবেদ আলী বলেন, “কুমিল্লার ১৭ উপজেলার মধ্যে ১৪টি বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে। আমরা বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ ও খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করছি। সহায়তা অব্যাহত রাখতে মন্ত্রণালয়ে চাহিদা পাঠানো হয়েছে।”