“দুই পক্ষের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ও অফিস ভাঙচুরের ঘটনায় কোন পক্ষই অভিযোগ করেনি।”
Published : 22 Feb 2025, 04:18 PM
সুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলা যুবলীগের এক নেতার গ্রেপ্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে।
দুই পক্ষ পরস্পরের অফিস ভাঙচুর করেছে। এ নিয়ে ১৪৪ ধারা জারি করেছে উপজেলা প্রশাসন।
শুক্রবার রাত ১২টা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করেন মধ্যনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উজ্জ্বল রায়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মধ্যনগর থানার ওসি মো. সজীব রহমান।
ওসি সজিব রহমান পুলিশ ও স্থানীয়রা বলেন, মধ্যনগরে অপারেশন ডেভিড হান্ট অভিযানে স্থানীয় বংসিকুণ্ডা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সহসভাপতি মিজানুর রহমানকে শুক্রবার গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ ঘটনায় মধ্যনগর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম মজনু ও জেলা যুবদল নেতা শহীদ মিয়ার লোকদের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়।
জেলা যুবদলের সদস্য শহীদ মিয়ার দাবি, “গ্রেপ্তার মিজানুর রহমান বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। এ নিয়ে শুক্রবার দিনভর উভয পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল। দুই পক্ষ পরস্পরের অফিস ভাঙচুর করে মহড়া দেয়।
“এ ঘটনায় আতঙ্ক ও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে শান্তি-শৃঙ্খলা ভঙ্গের আশঙ্কায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উজ্জ্বল রায় অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করেন।”
মধ্যনগর উপজেলা বিএনটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক বিএনপি নেতা আব্দুল কাইয়ুম মজনু বলেন, “জেলা কমিটির সদস্য যুবদল নেতা শহীদ মিয়ার শহীদের লোকজন যুবলীগ নেতার জন্য আমাদের অফিস ভাঙচুর করেছে।”
শহীদ মিয়া বলেন, “গ্রেপ্তার যুবক বিএনপির রাজনীতিতে যুক্ত। তাকে মজনুর লোককজন হয়রানি করছে।”
ওসি সজিব রহমান বলেন, “১৪৪ ধারা এখনও বহাল আছে। তবে দুই পক্ষের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ও অফিস ভাঙচুরের ঘটনায় কোন পক্ষই অভিযোগ করেনি।”