সকাল ১১টার দিকে নুহাশপল্লীর হোয়াইট হাউজের সামনে দুই ছেলেকে নিয়ে হুমায়ূন আহমেদের জন্মদিনের কেক কাটেন শাওন।
Published : 13 Nov 2024, 10:00 PM
নানা আয়োজনে গাজীপুরের নুহাশপল্লীতে জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের ৭৬তম জন্মদিন উদযাপিত হয়েছে।
মঙ্গলবার মধ্যরাত ১২টা ১ মিনিটে নুহাশপল্লীতে এক হাজার ৭৬টি মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করা হয়। এতে পুরো নুহাশপল্লী আলোকিত হয়ে ওঠে।
পরে সেখানকার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কেক কেটে হুমায়ূন আহমেদের জন্মদিনের কর্মসূচি শুরু করেন।
বুধবার সকালে নুহাশপল্লীতে আসেন হুমায়ূন আহমেদের স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন, ছেলে নিনিত ও নিশাত, শাওনের বাবা মোহাম্মদ আলী।
শাওন তার দুই ছেলে, বাবা ও নুহাশপল্লীর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে হুমায়ূন আহমেদের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। এ সময় দোয়া ও মোনাজাতে শরিক হন পরিবারের সদস্যসহ এবং বিপুল সংখ্যক দর্শনার্থী।
সকাল ১১টার দিকে নুহাশপল্লীর হোয়াইট হাউজের সামনে দুই ছেলেকে নিয়ে হুমায়ূন আহমেদের জন্মদিনের কেক কাটেন শাওন।
এ সময় মেহের আফরোজ শাওন সাংবাদিকদের বলেন, “নুহাশপল্লীটা হুমায়ূন আহমেদ করেছিলেন গাছ লাগানোর জন্য। হুমায়ূন আহমেদ বলতেন, বাংলাদেশের মাটিতে হয় এমন সব গাছ এখানে থাকবে।
গাছের প্রতি প্রেম ও ভালবাসার কারণে নুহাশপল্লীটা তৈরি হয়েছে। যখন যেখানেই দুর্লভ কোনো গাছ পাওয়া যায় তা আমরা সংগ্রহ করে নুহাশপল্লীতে রোপণ করি। গাছ দিয়েই নুহাশপল্লীর পরিচয়। তাই নুহাশপল্লীকে নিয়ে নতুন করে কোনো পরিকল্পনা আপাতত নেই।”
তিনি জানান, নুহাশপল্লীতে একটি শুটিং ফ্লোর ছিল, সেটি এখন অচল হয়ে আছে। হুমায়ূন আহমেদের মৃত্যুর পর কিছু কাজ ওই ফ্লোরে করা হয়েছিল। এখন সেটিতে কোনো কাজ করা হয় না তাই এটি এখন অচল হয়ে পড়ে আছে।
এদিকে হলুদ পাঞ্জাবী ও শাড়ি পড়ে একদল হিমু নুহাশপল্লীতে এসে হুমায়ূন আহমেদের কবরে শ্রদ্ধা জানান। এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বিপুল সংখ্যক দর্শনার্থী এবং স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা নুহাশপল্লীতে আসেন।
হুমায়ূন আহমেদ ১৯৪৮ সালের ১৩ নভেম্বর নেত্রকোণা জেলার মোহনগঞ্জ উপজেলার কুতুবপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ফয়জুর রহমান আহমেদ ও আয়েশা ফয়েজ দম্পতির বড় ছেলে।
২০১২ সালের ১৯ জুলাই তিনি যুক্তরাষ্ট্রে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। ২৪ জুলাই তাকে নুহাশপল্লীর লিচু তলায় চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়।