গাজী টায়ারসে আগুন: প্রতিবেদনেও নিখোঁজ ১৮২, ‘ধামাচাপার’ অভিযোগ- প্রতিবেদনটি ২০ অক্টোবর প্রকাশিত হয়।
Published : 21 Oct 2024, 05:57 PM
“গাজী টায়ারসে আগুন: প্রতিবেদনেও নিখোঁজ ১৮২, ‘ধামাচাপার’ অভিযোগ”- শিরোনামে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমে প্রকাশিত প্রতিবেদন সম্পর্কে নিজেদের অবস্থান ব্যাখ্যা করেছে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসন।
জেলা প্রশাসক মাহমুদুল হক সোমবার এক বিবৃতির মাধ্যমে এই বক্তব্য দিয়েছেন। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম সেটি হুবহু প্রকাশ করেছে।
“গাজী টায়ারসে আগুন: প্রতিবেদনেও নিখোঁজ ১৮২, ‘ধামাচাপার’ অভিযোগ”- প্রতিবেদনটি ২০ অক্টোবর প্রকাশিত হয়।
জেলা প্রশাসকের বক্তব্য
এতে বলা হয়েছে- “গাজী টায়ারসে আগুন: প্রতিবেদনেও নিখোঁজ ১৮২, ‘ধামাচাপার’ অভিযোগ” শীর্ষক সংবাদটি জেলা প্রশাসন নারায়ণগঞ্জের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। সংবাদে নিখোঁজ ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যদের বরাতে নিখোঁজের বিষয়টিকে ‘ধামাচাপা’ দেওয়ার যে অভিযোগ করা হয়েছে তা সঠিক নয়৷ কারণ জেলা প্রশাসন কর্তৃক গঠিত ৮ সদস্যবিশিষ্ট কমিটির প্রতিবেদনেও নিখোঁজ ব্যক্তিদের বিষয় এসেছে। নিখোঁজ হিসেবে যাদের নাম তদন্তে এসেছে তারা কেউ কারাখানার শ্রমিক বা কর্মচারী নয়।
গাজী টায়ারস কর্তৃপক্ষ লিখিতভাবে জানিয়েছেন তাদের কোনো শ্রমিক-কর্মচারী নিখোঁজ নেই। কারণ ৫ অগাস্ট, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ তারিখের পর কারখানা বন্ধ ছিলো। এ ছাড়া নিখোঁজ হিসেবে যাদের নাম এসেছে তাদের অনেকে দেশের বিভিন্ন জেলার বাসিন্দা এবং অনেকের ঠিকানা অসম্পূর্ণ।
অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় রূপগঞ্জ থানায় মামলা হয়েছে। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা এবং নিখোঁজ ব্যক্তিগণ কী কারণে গাজী টায়ারসে গিয়েছিল সামগ্রিক বিষয়াবলি পুলিশের তদন্তাধীন রয়েছে। একই সাথে নিখোঁজ ব্যক্তিদের তথ্যাদিও পুলিশ যাচাই-বাছাই করছে।
২৫ অগাস্ট, ২০২৪ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পাঁচ দিন পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুনে বিধ্বস্ত ভবন ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় ফায়ার সার্ভিস একাধিক বার চেষ্টা করেও উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করতে পারেনি। পরবর্তীতে বুয়েটের বিশেষজ্ঞ দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বিধ্বস্ত ভবন অতি ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনায় উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করা সম্ভব নয় মর্মে অভিমত দেন। এ কারণে সম্পূর্ণভাবে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করা সম্ভব হয়নি।
উল্লেখ্য, বুয়েটের বিশেষজ্ঞ টিমের ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণার পরও গণশুনানি চলাকালীন গত ১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ তারিখ বিধ্বস্ত ভবনের ভেতর থেকে দুটি মাথার খুলি ১২টির মতো হাড়গোড় পাওয়া যায়, যা ফরেনসিক রিপোর্টের জন্য সিআইডিতে পাঠানো হয়েছে। একইসাথে, ভবনটিতে কীভাবে সম্পূর্ণ উদ্ধার অভিযান চালানো যায় তা নিয়ে বুয়েটের বিশেষজ্ঞদের সাথে আলোচনা করা হয়েছে এবং অচিরেই কারখানা মালিকের সহায়তায় বিধ্বস্ত ভবনের ধ্বংসাবশেষ অপসারণ করা হবে।
অগ্নিকাণ্ডে নিখোঁজদের বিষয়টি ‘ধামাচাপা’ দেওয়ার যে অভিযোগ করা হয়েছে তা সঠিক নয়। স্বজনদের পক্ষ থেকে নিখোঁজের যে অভিযোগ করা হয়েছে পুরো বিষয়টি পুলিশ তদন্ত করছে এবং তদন্তের মাধ্যমে শিগগির নিখোঁজ ব্যক্তিদের বিষয়ে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে। সুতরাং অগ্নিকাণ্ডে নিখোঁজের ঘটনা ‘ধামাচাপা’ দেওয়ার অভিযোগ আদৌ সঠিক নয়।
প্রতিবেদকের বক্তব্য
মরদেহ না পাওয়া ও বিষয়টিকে ‘ধামাচাপা’ দেওয়ার অভিযোগটি স্বজন হারানো পরিবারের সদস্যরাই করেছেন। তাদের বক্তব্যের বরাতেই সেটি তুলে ধরা হয়েছে। ফলে অভিযোগের বিষয়টি নিখোঁজদের পরিবারের; প্রতিবেদকের নয়।
এ ছাড়া প্রতিবেদনে কোথাও নিখোঁজদের গাজী টায়ারসের শ্রমিক বলা হয়নি।
অন্যান্য বিষয়ে জেলা প্রশাসকের বক্তব্যে যা বলা হয়েছে, সেসব বিষয় প্রতিবেদনেও রয়েছে।