প্রধানমন্ত্রী যশোরে, জনসভামুখী মিছিলে উৎসবের রঙ

সকাল থেকেই আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে নেচে-গেয়ে জনসভাস্থলে জড়ো হচ্ছেন।

যশোর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 Nov 2022, 06:22 AM
Updated : 24 Nov 2022, 06:22 AM

পাঁচ বছর পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফর উপলক্ষে যাশোরে চলছে উৎসবের আমেজ।

বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে হেলিকপ্টারে করে যশোরের বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান বিমানঘাঁটিতে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। এরপর বাংলাদেশ বিমান বাহিনী একাডেমিতে রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে যোগ দেন এবং পাসিং আউট কুচকাওয়াজে অভিবাদন গ্রহণ করেন।

দুপুরে যশোরের শামস-উল-হুদাস্টেডিয়ামে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় ভাষণ দেবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। তার আগমন উপলক্ষে পুরো যাশোর শহর ব্যানার, ফেস্টুন আর তোরণে ছেয়ে গেছে।

যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন বলেন, ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর যশোর এসেছিলেন তাদের নেত্রী। পাঁচ বছর পর আবার তার আগমনে নেতাকর্মীদের মধ্যে দারুণ উদ্দীপনা তৈরি হয়েছে।

১৯৭২ সালের ২৬ ডিসেম্বর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একই স্টেডিয়ামে ভাষণ দিয়েছিলেন। তার ৫০ বছর পর তার মেয়ে সেখানে ভাষণ দেবেন। এ কারণে এ সমাবেশকে ঐতিহাসিক বলছেন আওয়ামী লীগের নেতারা।

সকাল থেকেই আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে নেচে-গেয়ে জনসভাস্থলে জড়ো হচ্ছেন। এ সমাবেশে চার লাখ লোক সমাগমের লক্ষ্য ঠিক করার কথা বলছেন ক্ষমতাসীন দলটির নেতারা।

জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুল মজিদ বলেন, “মঞ্চ সাজানো হয়েছে লাল গালিচা দিয়ে। প্রধানমন্ত্রী যে পথ দিয়ে মঞ্চে প্রবেশ করবেন সেই পথ থেকে শুরু করে মঞ্চ পর্যন্ত লাল গালিচায় মুড়ে দেওয়া হয়েছে। মঞ্চের ব্যাক স্ক্রিন করা হচ্ছে চারুকলার ছাত্রদের দিয়ে।”

যশোর সদর আসনের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ বলেন, সমাবেশকে ‘জনসমুদ্রে’ পরিণত করতে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। যশোরসহ খুলনা বিভাগের প্রতিটি জেলা থেকে নেতা-কর্মীরা আসছেন।

“যশোরবাসীর দীর্ঘ দিনের প্রতীক্ষা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের আশা পূরণ করবেন। তিনি যশোর জেলাকে ইতোমধ্যে অনেক কিছু দিয়েছেন। আমাদেরকে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় দিয়েছেন, মেডিকেল কলেজ দিয়েছেন, ভৈরব নদ তিনি খনন করা শুরু করেছেন, এখানে শেখ হাসিনা সফটওয়্যার আইটি পার্ক তিনি দিয়েছেন।”

যশোরকে বিভাগ করার দীর্ঘদিনের দাবি আবারও তুলে ধরে তিনি বলেন, “শহরকে সিটি কর্পোরেশন করা, ৫০০ শয্যার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল করা, ভৈরব নদের কাজ দ্রুত সম্পন্ন করা – সকল দাবি আমরা যশোরবাসীর পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরব। আমরা আশা করব তিনি সেগুলো বিবেচনা সাপেক্ষে গ্রহণ করবেন এবং আগামীতে সেটা বাস্তবায়ন আমরা দেখতে পাব।”

প্রধান অতিথি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুপুর ২টার পর মঞ্চে উঠবেন বলে নেতৃবৃন্দ জানিয়েছেন। এ ছাড়া কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় শীর্ষ নেতৃবৃন্দের অধিকাংশই উপস্থিত রয়েছেন।

কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে ইতোমধ্যে বক্তব্য রেখেছেন এবিএম মোজাম্মেল হক, এস এম কামাল হোসেন, শেখ সারহান নাসের তন্ময়, মির্জা আযম, ডা. মোস্তফা জামাল মহিউদ্দিন, ব্যরিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ।

সরকারপ্রধানের সফর ঘিরে যশোর জেলাকে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে। পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার বলেন, “এখানে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পর্যাপ্ত সংখ্যক সদস্য নিয়োজিত রয়েছে। পোশাকের পাশাপাশি সাদা পোশাকেও ডিউটিতে নিয়োজিত রয়েছে।”