“নিয়মিত বদলির অংশ হিসেবে তাদের বদলি করা হয়েছে।”
Published : 10 Apr 2025, 01:33 PM
গাজীপুর সাফারি পার্ক থেকে আফ্রিকান লেমুর চুরির আলোচনার মধ্যেই পার্কের দুই কর্মকর্তাসহ তিনজনকে বদলির খবর এসেছে।
বুধবার তাদের বদলি করা হয়। বৃহস্পতিবার সকালে এ খবর নিশ্চিত করেন বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় (ঢাকা) বন কর্মকর্তা শারমিন আক্তার।
তিনি বলেন, “নিয়মিত বদলির অংশ হিসেবে তাদের বদলি করা হয়েছে।”
গাজীপুর সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সহকারী বন সংরক্ষক মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, বুধবার পার্কের ওয়াল্ডলাইফ সুপারভাইজার মো. আনিছুর রহমানকে রাজশাহী, ফরেস্টার মো. হারুন অর রশিদকে চট্টগ্রামে ও জুনিয়র ওয়াল্ডলাইফ স্কাউট মামুনকে বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটে বদলি করা হয়েছে।
তার ভাষ্য, পার্কের চুরির ঘটনায় অথবা দায়িত্বে অবহেলা কারণে নয়, এটি বদলির স্বাভাবিক প্রক্রিয়া।
রফিকুল বলেন, গত ২৩ মার্চ রাতে পার্কে ‘লামচিতা-১’ বেস্টনিতে থাকা তিনটি রিং-টেইলড লেমুর চুরি হয়। তাদের মধ্যে দুটি শাবক ও একটি প্রাপ্তবয়স্ক ছিল। এ ঘটনায় গত ২২ মার্চ রাতে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়।
এদিকে বুধবার দুপুরে সাফারি পার্ক পরিদর্শনে যান পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। মন্ত্রণালয় ও বন বিভাগের কর্মকর্তারা এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন।
২০১৮ সালের ৬ অগাস্ট ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পাচারকালে লাভ বার্ড, কাকাতুয়া, ম্যাকাও, ময়ূর ও দুইটি লেমুরসহ ২০২ জোড়া বিপন্ন পাখি ও বন্যপ্রাণী উদ্ধার করে শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগ ও ঢাকা কাস্টমস হাউস।
উদ্ধার হওয়া প্রাণীগুলো পরবর্তীতে বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের মাধ্যমে সাফারি পার্কে হস্তান্তর করা হয়। ওই লেমুর জোড়াটি পার্কে প্রথমবারের মতো বাচ্চা দেয়। ২০২২ সালে একটি লেমুর মারা যাওয়ার পর তিনটি পার্কে ছিল। এাবর তিনটি লেমুর চুরির ঘটনায় বেষ্টনি এখন পুরোপুরি ফাঁকা।
পার্ক সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ৫ অগাস্টের পর থেকেই সাফারি পার্কে নানা ধরনের অব্যবস্থাপনা চলছে। একের পর এক মূল্যবান প্রাণী চুরির ঘটনায় বন বিভাগের কিছু কর্মচারির সম্পৃক্ততা সন্দেহ করা হলেও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এখনও কাউকে জবাবদিহিতার আওতায় আনেনি।
এ পার্ক থেকে গত বছরের নভেম্বরে দুটি ম্যাকাও পাখি চুরি এবং চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি একটি নীলগাই নিখোঁজ হয়।