গাজীপুরের শ্রীপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে এবার আড়াই বছর বয়সী একটি আফ্রিকান লেমুর মারা গেছে।
Published : 27 Feb 2022, 04:55 PM
পার্কের প্রকল্প পরিচালক মোল্লা রেজাউল করিম রোববার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “গত শুক্রবার বিকেলে মাদী লেমুরটিকে বেস্টনীতে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, লেমুরটি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে।
“পার্কে মোট চারটি লেমুর ছিল। একটি মারা যাওয়ায় বর্তমানে তিনটি রয়েছে। সেগুলো সুস্থ আছে।”
পার্কের এক কর্মকর্তা জানান, শুক্রবার বিকেলেই লেমুরটির ময়নাতদন্ত শেষ করে মাটিচাপা দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে নিয়মানুযায়ী শ্রীপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।
২০১৮ সালের ৬ আগস্ট রাতে পাচারকালে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে লাভবার্ড, কাকাতুয়া, ম্যাকাও, ময়ুর, দুইটি লেমুরসহ ২০২ জোড়া বিপন্ন পাখি ও বন্যপ্রাণী উদ্ধার করে শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগ ও ঢাকা কাস্টমস হাউস কর্তৃপক্ষ।
পরে তা বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের কাছে হস্তান্তর করা হয়। উদ্ধার হওয়া পাখি ও প্রাণীগুলোকে ওই বছরের ৭ আগস্ট সাফারি পার্ক কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর কর হয়। এর মধ্যে শুক্রবার মারা যাওয়া লেমুরটিও ছিল।
লেমুরটি সাফারি পার্কে প্রথমবারের মতো একজোড়া বাচ্চার জন্ম দিয়েছিল। একটি মারা গেলেও অপরটি বেঁচে আছে।
অল্প সময়ের মধ্যে ১৩টি প্রাণীর মৃত্যুর ঘটনায় পার্কে কর্মরত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও চিকিৎসকের বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ ওঠে। পার্কে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব, সীমানা প্রাচীরের ভেতর থেকে খাবার পাচার, জেব্রা ও বাঘ মৃত্যুর ঘটনাটি গোপন রাখা এবং জেব্রাগুলোকে হত্যার অভিযোগ এনে স্থানীয় সংসদ সদস্যসহ বিভিন্ন মহল থেকে পার্কের কর্মকর্তাদের দায়িত্ব অবহেলার বিষয় ওঠায় গত ৩১ জানুয়ারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তবিবুর রহমান ও চিকিৎসক ডা. হাতেম সাজ্জাদ মো. জুলকারনাইনের পার্কের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে নেয় কর্তৃপক্ষ।
গত ২রা ফেব্রুয়ারি পার্কের প্রকল্প পরিচালক জাহিদুল কবিরকেও দায়িত্ব থেকে সরিয়ে নেয় কর্তৃপক্ষ। সবশেষে পার্কের বন্যপ্রাণী সুপারভাইজার সারোয়ার হোসেনকেও সরানো হয়।