গভীর সমুদ্রে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়সহ নানা দুর্যোগের আগাম বার্তা সংগ্রহে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা কক্সবাজারের রাডার স্টেশনটি যান্ত্রিক ক্রটির কারণে বন্ধ রয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর কক্সবাজার আঞ্চলিক কার্যালয়ের সহকারী আবহাওয়াবিদ মো. ইমাম উদ্দিন মঙ্গলবার জানান, গত দুই সপ্তাহ ধরে কক্সবাজার স্টেশনের রাডারটি যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বন্ধ রয়েছে।
তিনি বলেন, এই রাডারের মাধ্যমে কক্সবাজার স্টেশন থেকে ৪০০ কিলোমিটার দূরবর্তী সমুদ্র এলাকার আবহাওয়ার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হয়।
“কিন্তু এটি অচল থাকায় আবহাওয়ার সার্বিক তথ্য যথাযথভাবে সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে না।”
এই রাডার স্টেশনটি কবে নাগাদ সচল হবে তা জানাতে পারেননি এই আবহাওয়াবিদ।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য মতে, ১৯৬৯ সালে সুইডিশ শিশুকল্যাণ সংস্থা ও রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির সহযোগিতায় কক্সবাজার রাডার স্টেশনটি স্থাপন করা হয়।
পরবর্তীতে ২০০৭ সালের ২২ এপ্রিল জাপান সরকারের আর্থিক সহযোগিতায় রাডার সিস্টেমের উন্নয়ন করা হয়।
কক্সবাজার হিলটপ সার্কিট হাউজের পাশে অবস্থিত রাডার স্টেশনটি সমতল ভূমি থেকে ৬০ ফুট উঁচু পাহাড়ের চূড়ায় প্রায় ৯৯ ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট ভবনের উপর স্থাপন করা হয়।
স্টেশনটি বাংলাদেশের আবহাওয়ার অবস্থান, পূর্বাভাস দেওয়ার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক আবহাওয়ার আগাম সতর্কতা দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
ফলে গভীর সমুদ্রে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়সহ নানা দুর্যোগের পূর্বাভাস পাওয়ার কারণে জানমালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা পাচ্ছে উপকূলবাসী।
চতুর্দিকে ৪০০ কিলোমিটার দূরত্ব পর্যন্ত নিখুঁতভাবে আগাম সতর্কতা বার্তা দিতে সক্ষম ডপলার রাডারটি। এ রাডারের মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্য ভি-সেটের মাধ্যমে সঙ্গে সঙ্গে আবহাওয়া দপ্তর জানতে পারে।