স্ত্রী-সন্তান ও স্ত্রীর বোনকে হত্যা মামলার আসামি ওই যুবক।
Published : 12 Apr 2025, 06:24 PM
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে স্ত্রী-সন্তান ও এক স্বজন খুনের মামলায় গ্রেপ্তার যুবককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ডে পেয়েছে পুলিশ।
শনিবার বিকালে জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম বেলায়েত হোসেনের আদালত এ রিমান্ড আদেশ দেয় বলে জানান আদালত পুলিশের পরিদর্শক কাইউম খান।
তিনি বলেন, “ট্রিপল মার্ডারের ঘটনায় গ্রেপ্তার আসামি মো. ইয়াসিনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দশ দিনের রিমান্ড আবেদন করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ। শুনানি শেষে আদালত ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।”
গ্রেপ্তার মো. ইয়াসিন (২৪) সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি দক্ষিণপাড়া এলাকার মো. দুলালের ছেলে। তিনি পেশায় একজন ব্যাটারিচালিত রিকশাচালক।
পাঁচ বছর আগে ইয়াসিনের সঙ্গে লামিয়ার (২২) বিয়ে হয়। তাদের চার বছর বয়সি ছেলেও হত্যার শিকার হন। লামিয়া সিদ্ধিরগঞ্জের একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। বড়বোন স্বপ্নাও লামিয়াদের সঙ্গে পশ্চিমপাড়া এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন।
শুক্রবার দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি পশ্চিমপাড়া এলাকায় বাসার সামনের রাস্তার পাশে ময়লার স্তুপ খুঁড়ে লামিয়া আক্তার, তার চার বছরের ছেলে আব্দুল্লাহ ওরফে রাফসান লাবিব এবং স্বপ্না আক্তারের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
লাশগুলো উদ্ধারের কিছুক্ষণ পরই ইয়াসিনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পরে লামিয়ার মেজো বোন মুনমুন আক্তার বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেন।
ওই মামলায় ইয়াসিন ছাড়াও তার বাবা মো. দুলাল (৫০) ও বোন মোসা. শিমুকে (২৭) আসামি করা হয়েছে।
মামলায় মুনমুন উল্লেখ করেছেন, মাদকাসক্ত ইয়াসিনের ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা থাকার পরও সংসারের খরচ জোগাতে তিনি সেটি নিয়মিত চালাতেন না। ফলে প্রায় সময় টাকার জন্য তার বোনকে মারধর করতেন এবং টানা না পেলে হত্যার হুমকি দিতেন ইয়াসিন।
মুনমুনের অভিযোগ, ইয়াসিন নিজের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে পরিকল্পিতভাবে তার দুই বোন ও ভাগ্নেকে হত্যা করে লাশ গুম করতে রাস্তার পাশে আবর্জনার স্তুপে লুকিয়ে রাখেন।
আরো পড়ুন: