শুক্রবার রাতে কীর্তিনাশা নদীতে ডাকাতির ঘটনায় ৮ জনকে আটক করা হয়েছে; যাদের মধ্যে গণপিটুনিতে দুইজন মারা গেছেন বলে জানায় পুলিশ।
Published : 01 Mar 2025, 04:54 PM
শরীয়তপুর সদরে কীর্তিনাশা নদীতে ডাকাতির চেষ্টার ঘটনায় আরও একজনকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে দিয়েছে জনতা। এ সময় তার কাছ থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
শনিবার দুপুরে সদর উপজেলার তুলাসার ইউনিয়নের আড়িগাঁও এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয় বলে জানান শরীয়তপুর জেলা পুলিশ সুপার নজরুল ইসলাম।
শুক্রবার রাতে ডাকাতির ঘটনায় এ পর্যন্ত মোট আটজনকে আটক করা হয়েছে; যাদের মধ্যে দুইজন মারা গেছেন।
আটকরা আন্তঃজেলা ডাকাত দলেন সদস্য; তাদের বিরুদ্ধে ডাকাতি, হত্যাসহ একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পালং থানা-পুলিশ।
আটকদের মধ্যে চারজনের পরিচয় শনাক্ত করা গেছে। তারা হলেন- মুন্সীগঞ্জের মহেষপুর এলাকার সানাউল্লাহ গাজীর ছেলে রাকিব গাজী (৩৮), একই জেলার কালিরচর এলাকার বাচ্চুর ছেলে রিপন (৪০), শরীয়তপুরের জাজিরার উপজেলার কুণ্ডেরচর এলাকার মোহাম্মদ দেওয়ানের ছেলে আনোয়ার দেওয়ান (৫০) এবং মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার কুতুবপুর এলাকার হারুন তালুকদারের ছেলে সজিব তালুকদার (৩০)। এদের মধ্যে রিপন ও সজিব তালুকদার গণপিটুনিতে মারা গেছেন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার রাতে একদল ডাকাত মাদারীপুরের রাজারচর এলাকায় বাল্কহেডে ডাকাতির চেষ্টা করে। পরে তাদের ধাওয়া দেন স্থানীয়রা। ডাকাতরা পালিয়ে শরীয়তপুরের তেতুলিয়া এলাকায় আসলে স্থানীয়রা বাল্কহেড দিয়ে তাদের স্পিডবোটের গতিপথ রোধ করেন।
এ সময় ডাকাতদের ছোড়া হাতবোমা ও এলোপাতাড়ি গুলিতে পাঁচজন গ্রামবাসী আহত হন। এলাকাবাসীর প্রতিরোধের মুখে ডাকাতরা স্পিডবোট ফেলে পালানোর সময় সাতজনকে আটক করে পিটুনি দিয়ে পুলিশের দেয়।
পরে আহতদের শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ছাড়া ডাকাতদের ছোড়া গুলিতে আহত পাঁচজনের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের চিকিৎসক মুনতাসির খান বলেন, ডাকাতদের গুলিতে আহত চারজনকে হাসপাতালে আনা হয়েছিল। তাদের মধ্যে একজন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছেন। বাকি তিনজনকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
এ ছাড়া ডাকাতের মধ্যে দুজন মারা গেছেন; বাকিদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
পুলিশ সুপার নজরুল ইসলাম বলেন, ডাকাতির ঘটনায় একটি রাইফেল ও শর্টগানসহ দুটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনি পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন।