বিজিবির মহাপরিচালককে সঙ্গে নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
Published : 01 Mar 2025, 08:35 PM
সীমান্ত নিরাপত্তার জন্য আরাকান আর্মি ও মিয়ানমার জান্তা সরকার দুপক্ষের সঙ্গেই বাংলাদেশের সুসম্পর্ক রাখতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
তিনি বলেছেন, “দেশটা হলো মিয়ানমার। বর্ডারটা দখল করে আছে আরাকান আর্মি। ভবিষ্যতে কার হবে সেটার অফিসিয়াল কিছুও অজানা। আর সীমান্ত এখন যেভাবে আছে পুরা নিরাপদ, কোনো সমস্যা নাই।”
শনিবার দুপুরে কক্সবাজারের উখিয়ায় বিজিবির নতুন একটি ব্যাটালিয়নের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন।
উখিয়া ব্যাটলিয়ন, স্টেশন সদর দপ্তর, গার্ড পুলিশ ব্যাটলিয়ন, কে-নাইন ইউনিট অ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টারের পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠানে অংশ নেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
বিজিবির কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের প্রশিক্ষণ মাঠে এই আনুষ্ঠানিক পতাকা উত্তোলন করেন তিনি।
পতাকা উত্তোলনের পর উখিয়া ব্যাটালিয়ন, গার্ড পুলিশ ব্যাটালিয়ন এবং বিজিবি ডগ স্কোয়াড কে-৯ ইউনিটের সমন্বয়ে গঠিত একটি সুসজ্জিত প্যারেড প্রদর্শন করেন।
পরে বিজিবির মহাপরিচালককে সঙ্গে নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
বিজিবির নতুন উখিয়া ব্যাটালিয়নের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে উপদেষ্টা বলেন, “এই এলাকা দিয়ে বেশিরভাগ মাদক চলে আসে। এ ছাড়া রোহিঙ্গা সমস্যাটা বড় ধরনের হয়ে গেছে। এজন্য এ ব্যাটালিয়নটা খুবই দরকার ছিল। ভবিষ্যতে যদি আরো ব্যাটালিয়ন দরকার হয় চেষ্টা করব তাও করার। এ এলাকাটা যেন শান্তিপূর্ণভাবে থাকে, বর্ডারটা যেন শান্তিতে থাকে।
প্রায় ৬০ হাজারের মত রোহিঙ্গা নতুন করে এসেছে জানিয়ে তিনি বলেন, “এতে মানবিক একটা কারণও থাকে আবার বিদেশিদের একটা প্রেশারও থাকে। এজন্য তাদের সাহায্য-সহযোগিতাও বাড়াতে বলেছি।
“রোহিঙ্গারা অনেকদিন যাবৎ ক্যাম্পে আটকা। এজন্য তারা বের হয়ে আসতে চাচ্ছে এবং অন্যান্য দেশ কিন্তু প্রমিজ করছে যে, তাদের নেবে। যে পরিমাণ নিচ্ছে তার সংখ্যা খুবই কম। বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতদের বিষয়টি নিয়ে আমরা বলি।”
ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি হত্যা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, “বিজিবি-বিএসএফের উচ্চ পর্যায়ের সভায় সবচেয়ে বেশি জোর দেওয়া হয়েছে এটি নিয়ে। তারপরও কিন্তু ঘটনা ঘটে যাচ্ছে। এগুলো যেন কমিয়ে আনা যায় আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি।”
একই ইস্যুতে বিজিবির মহাপরিচালক আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী বলেন, “বিএসএফের সঙ্গে সভায় অগ্রাধিকার ইস্যু ছিলো এটি। আমরা জোরালো ও কড়া ভাষায় প্রতিবাদ জানিয়েছি। আমাদের এদিক থেকে অবৈধ অনুপ্রবেশ হোক আর যাই হোক হত্যা কোনো চুড়ান্ত সমাধান হতে পারে না।
“আর যদি এমন হয়, আমরা আরো কঠোর অবস্থানে যাব। আর অবৈধভাবে যেন আমাদের এদিক থেকে কেউ না যায় সেদিকেও সবাইকে খেয়াল রাখতে হবে।”