Published : 24 Mar 2025, 07:21 PM
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে বিএনপির সভা ঘিরে দুপক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
সোমবার দুপুরে চৌদ্দগ্রাম পৌর মিলনায়তনে দলটির সাংগঠনিক সভাকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।
সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে দাবি করা হচ্ছে।
সংঘর্ষের কারণে বেশ কিছুক্ষণ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে।
চৌদ্দগ্রাম উপজেলা বিএনপি সাবেক আহ্বায়ক কামরুল হুদা ও কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সাজেদুর রহমান হিরণ মোল্লা এবং কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক তোফায়েল হোসেন জুয়েলের লোকজনের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে বলে স্থানীয় নেতাকর্মীরা জানান।
তোফায়েল হোসেন জুয়েল দাবি করেন, “উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সভায় কামরুল হুদার লোক ছাড়া অন্য কেউ যেন প্রবেশ করতে না পারে, সেজন্য তারা গেইটে পাহারা বসায়। আমরা নেতাকর্মীদের নিয়ে প্রবেশের চেষ্টা করলে হকিস্টিক, চাইনিজ কুড়ালসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালায়। এতে আমাদের অন্তত ১৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। আতর্কিত হামলায় আমরা সভাস্থলে প্রবেশ করতে না পেরে চলে আসি।”
হিরণ মোল্লা বলেন, “নেতাকর্মীদের নিয়ে আমি সভাস্থলে প্রবেশের চেষ্টা করলে তারা আমাকে লাঞ্ছিত করে এবং নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালায়। আমি মিলনায়তনে প্রবেশ করতে না পেরে আবুল খায়ের মার্কেটের সামনে এসে নেতাকর্মীদের নিয়ে অবস্থান করি। কিছুক্ষণ পর সেখানেও আমার ওপর হামলা করে।”
তবে কামরুল হুদা বলেন, “আমরা মিলনায়তনের ভেতরেই ছিলাম। কিন্তু কেউ সংঘর্ষ করেছে এরকম শুনিনি। আর কেউ যদি অভিযোগ করে তাদের ১৫ জন আহত হয়েছে, তাহলে তাদের আমরা হাসপাতালে দেখতে যাব।”
তিনি আরো দাবি করেন, “যদি মিলনায়তনের বাইরে কিছু হয়েও থাকে, সেসবে আমার লোকজন জড়িত নন।”
চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মহসিন বিন সুলতান বলেন, “এ ধরনের কোনো রোগী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসেননি।”
চৌদ্দগ্রাম থানার ওসি হিলাল উদ্দিন বলেন, “বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত আছে। এ ঘটনায় কোনো পক্ষই থানায় অভিযোগ দেয়নি।”