কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় নারী শিক্ষককে শ্লীলতাহানি এবং ছাত্রীদের যৌন হয়রানি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে এক মাদ্রাসার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে।
এই অভিযোগে মঙ্গলবার উপজেলার খুরুইল সিনিয়র আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষের অপসারণ দাবিতে ভুক্তভোগী শিক্ষিকা, শিক্ষার্থী, তাদের অভিভাবক ও স্থানীয়রা মানববন্ধন করেছেন।
অধ্যক্ষ মো. আনিসুর রহমান মোল্লাকে দ্রুত অপসারণ করা না হলে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনেরও ঘোষণা দেওয়া হয় মানববন্ধনে।
পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন ভূঁইয়া জনীর কাছে ভুক্তভোগীসহ ১৭ জন শিক্ষক ও এলাকাবাসী স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগ দেওয়া হয়।
মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সাবেক সভাপতি মো. আলমগীর কবির মানবন্ধনে বলেন, তার (অধ্যক্ষ আনিসুর) অপকর্মের বর্ণনা দিয়ে শেষ করা যাবে না। তিনি মাদ্রাসার রেজুলেশন বই, আয়-ব্যয়ের হিসাবসহ প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্র সরিয়ে ফেলেছেন। প্রায় দশ বছর আগে দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়ায় মুরাদনগরে সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.বেলাল আহম্মেদ তাকে বরখাস্ত করে মামলা করেছিলেন। ওই মামলায় এই অধ্যক্ষ জেলও খেটেছেন।
“পরে আনিসুর রহমান মোল্লা বিভিন্ন কৌশল মাদ্রাসা বোর্ডকে ম্যানেজ করে আবার মাদ্রাসায় যোগ দেন।”
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অধ্যক্ষ মো. আনিসুর।
তিনি বলেন, “আমি শিগগিরই এই প্রতিষ্ঠান থেকে স্বেচ্ছায় চলে যাব। এই মর্মে আমি শিক্ষক ও এলাকাবাসীর কাছে লিখিত দিয়েছি। আমি কোনো বিশৃঙ্খলা চাই না।”
কর্মসূচিতে মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক মো. শাহজাহান, প্রভাষক ফিরোজুর আলম, সেলিনা আক্তার, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হাশেম, আলামুল হুদা মাস্টার, মো. সেলিম, মো. রহুল আমিন সরকার, অভিভাবক সদস্য আহম্মদ মুন্সি, মো. আবদুস সালাম, একরামুল হক, মো.হেলাল মুন্সি বক্তব্য দেন।