গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে গরীবদের ভাতা কার্ড করে দেওয়ার কথা বলে টাকা নিয়ে আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় গত বুধবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মেহেদী হাসান বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
যার বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি কাশিয়ানী উপজেলার নিজামকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের ৫ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য মিল্টন ফকির।
অভিযোগে বলা হয়, ইউপি সদস্য মিল্টন অসহায়, দরিদ্র পরিবারের কাছ থেকে বয়স্ক, বিধবা, পঙ্গু, মাতৃত্বকালীন ভাতা ও পারিবারিক রেশন কার্ড করে দেওয়ার কথা বলে অর্ধশতাধিক মানুষের কাছ থেকে তিন থেকে ছয় হাজার টাকা করে নিয়েছেন।
অভিযোগে আরও বলা হয়, মিল্টন ভাতা কার্ড না করে দিয়ে ওই অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। এখন টাকা চাইতে গেলে নানা তালবাহানা করছেন।
এমনকি ওই ইউপি সদস্য ভয়ভীতি ও হুমকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা।
ষাটোর্ধ্ব যমুনা বেগম বলেন, মিল্টন ফকির বিধবা ভাতার কার্ড করে দেওয়ার কথা বলে অফিস খরচ বাবদ তার কাছ থেকে পাঁচ হাজার টাকা নিয়েছেন। ছয় মাস অতিবাহিত হলেও আজ পর্যন্ত কার্ড করে দেননি। টাকা ফেরত চাইতে গেলে তিনি নানাভাবে হুমকি দিচ্ছেন।
একই অভিযোগ করেছেন ওই ওয়ার্ডের বিধবা নাদিরা বেগম।
এ ছাড়া ফাতেমা বেগম, বতু মোল্লাকে বয়স্ক ভাতার কার্ড করে দেওয়ার কথা বলে এক বছর আগে টাকা নিয়েছেন ইউপি সদস্য মিল্টন ফকির। এখন পর্যন্ত তাদের কাউকে কার্ড করে না দিয়ে সেই টাকা তিনি নিজেই ‘খেয়ে ফেলেছেন’।
এ বিষয়ে ইউপি সদস্য মিল্টন ফকিরের সঙ্গে কথা হলে এ সব অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, “এলাকার দ্বন্দ্বকে কেন্দ্র করে একটি মহল আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেছেন। এর আগেও আমাকে নানাভাবে হয়রানি করেছেন তারা। মেম্বরি করতে গেলে শতভাগ স্বচ্ছ কাজ করা যায় না। তাই অভিযোগ থাকতেই পারে।”
নিজামকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী নওশের আলী বলেন, “বিষয়টি আমার জানা নেই। এ বিষয়ে কেউ আমার কাছে কোনো অভিযোগও করেনি।
“তবে শুনেছি, ভাতার কথা বলে লোকজনের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগে ইউএনও স্যারের কাছে একটি অভিযোগ করা হয়েছে।”
এ ব্যাপারে ইউএনও মেহেদী হাসান বলেন, “ইউপি সদস্য মিল্টন ফকিরের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”