উখিয়ার ক্যাম্পে ফের রোহিঙ্গা নেতা খুন

কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার কুতুপালং শরণার্থী শিবিরে আবার এক রোহিঙ্গা নেতা খুন হয়েছেন।

রোববার সকালে সাড়ে ৮টায় কুতুপালং ২-ইস্ট নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বি-ডব্লিউ-৫ ব্লকে রোহিঙ্গা নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয় বলে জানান ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অধিনায়ক পুলিশ সুপার (এসপি) মো. নাইমুল হক।

নিহত আবুল কালাম (৬০) কুতুপালং ২-ইস্ট রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বি-ডব্লিউ-৫ ব্লকের বাসিন্দা মৃত হাবিবুর রহমানের ছেলে। তিনি ক্যাম্পটির বি-ডব্লিউ-৫ ব্লকের সাব-মাঝি বা উপ-সর্দার হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন।

গত বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর উখিয়া উপজেলার ১-ইস্ট নম্বর লম্বাশিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডি-৭ ব্লকে রোহিঙ্গা নেতা মোহাম্মদ মুহিবুল্লাহকে গুলি চালিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। তিনি প্রত্যাবাসনের পক্ষে সোচ্চার ছিলেন বলে পরিবার ও পুলিশ জানিয়েছিল।

এরপর একই বছরের ২২ অক্টোবর ভোররাতে পালংখালী ইউনিয়নের ১৮ নম্বর ময়নারঘোনা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এইচ-৫২ ব্লকের ‘দারুল উলুম নাদওয়াতুল ওলামা আল-ইসলামিয়া মাদ্রাসায়’ একদল লোক হামলা চালায়। এতে মাদ্রাসাটির ছাত্র-শিক্ষকসহ ছয় রোহিঙ্গা নিহত হন।

উপ-সর্দার আবুল কালাম হত্যার ব্যাপারে পুলিশ সুপার নাইমুল হক বিকালে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “কুতুপালং আশ্রয় শিবিরের ক্যাম্প- ২ ইস্ট নিজ ব্লকে অবস্থান করছিলেন কালাম। সকালে অজ্ঞাত বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতকারী এসে তাকে কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যায়।

“আহত অবস্থায় প্রথমে তাকে স্থানীয় আইওএম হাসপাতালে ভর্তি করে স্থানীয়রা। পরে চিকিৎসক তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুরে আবুল কালাম মারা যান।”

এপিবিএন অধিনায়ক আরও বলেন, “পূর্বশত্রুতার জেরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। তবে এ ঘটনায় জড়িত কয়েকজনের নাম পাওয়া গেছে। পুলিশ এরই মধ্যে তদন্ত শুরু করেছে।”

আরও পড়ুন:

ভোর রাতে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মাদ্রাসায় হামলা, নিহত ৬  

৬ রোহিঙ্গা খুন: আগে থেকেই ‘হুমকি ছিল’  

‍গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠায় মুহিবুল্লাহ খুন: পুলিশ