বগুড়ায় যমুনার ভাঙন রক্ষায় নির্মিত বানিয়াজান স্পারে আবার ধস হয়েছে।
Published : 16 Aug 2021, 06:55 PM
সোমবার সকালে স্পারের অন্তত ১৮ মিটার ভেঙে যায় বলে বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আসাদুজ্জামান জানিয়েছেন।
এ নিয়ে গত দশ দিনে এই স্পারে তিন বার ভাঙন হলো। এর আগে গত ৫ অগাস্ট ও ৯ অগাস্ট ভাঙন হয়েছিল।
ভান্ডারবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বেলাল হোসেন বাবু জানান, যমুনার পানি বৃদ্ধির ফলে স্রোতের কারণে সকালে আবার স্পারটি ভাঙনের কবলে পড়ে। স্পারের ধসের উজানে জিও ব্যাগ না ফেললে ভাঙন ঠেকানো সম্ভব হবে না। আর যদি ভেঙে যায় এবং নদীর পানি যদি আরও বৃদ্ধি পায় তাহলে বানিয়াজান, ভান্ডারবাড়ী, কয়াগাড়ী, পুকুরিয়া ও কাজিপুরসহ আরও কয়েকটি গ্রাম বিলীন হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।
বানিয়াজানের গুচ্ছ গ্রামের অধিবাসী সুচেন দাশ বলেন, “যদি স্পার ভেঙে যমুনার পানি দক্ষিণে গড়তে থাকে তাহলে গ্রাম যমুনায় বিলীন হয়ে যাবে। আবারও তাহলে গৃহহীন হয়ে পড়ব। এখন সেই আতংকে আছি।”
বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আসাদুজ্জামান জানান, “গত ৫ অগাস্ট ১৮ মিটার, ৯ অগাস্ট ১২ মিটার ও আজ [সোমবার] ১৮ মিটার ধস নেমেছে।”
ধস ঠেকাতে সেখানে জিও ব্যাগ নিক্ষেপ করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন,
যমুনার পানি প্রতি ঘণ্টায় এক সেন্টিমিটার করে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে স্রোতের তীব্রতাও বাড়ছে। স্রোতের কারণেই ধস নেমেছে।
ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার মোহন্ত বলেন, প্রতিনিয়ত স্পারের খোঁজ নিয়ে সংশ্লিষ্ট মহলকে অবহিত করা হচ্ছে।
বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে জানা যায়, ২০০৩ সালে যমুনার ভাঙন রোধে সারিয়াকান্দী উপজেলা ও ধুনট উপজেলায় ছয়টি স্পার নির্মাণ করা হয়। প্রতিটি ১১ কোটি টাকা করে মোট ৬৬ কোটি টাকা ব্যয় হয় এই নির্মাণে। স্পারগুলোর মধ্যে শুধু সারিয়াকান্দীর হাসনা পাড়ায় দুটি অক্ষুণ্ণ রয়েছে। বানিয়াজান স্পারের কংক্রিট ১৫০ মিটারের ৫০ মিটার বিলীন হয়ে গেছে। অপর তিনটি স্পারের অস্তিত্ব নেই।