তিন রোহিঙ্গার পাসপোর্ট করার ঘটনায় নোয়াখালী পুলিশের বিশেষ শাখার দুই এএসআইকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়ার পর এবার দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
Published : 15 Sep 2019, 08:16 PM
জেলা পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন বলেন, শনিবার রাতে এ আদেশের পর জেলা বিশেষ শাখার (ডিএসবি) দুই এএসআই আবুল কালাম ও নুরুল হুদাকে জেলা পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে।
গত ৬ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশি পাসপোর্টধারী তিন রোহিঙ্গা তরুণকে চট্টগ্রামের আকবরশাহ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পুলিশের জিজ্ঞাবাদে জানায় তারা দালাল ধরে নোয়াখালী আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস থেকে পাসপোর্ট করেছে। ওই তিন যুবক তাদের পাসপোর্ট আবেদনে নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার কাদরা ইউনিয়নের বাসিন্দা দেখিয়ে জন্ম নিবন্ধন সনদ ও নাগরিকত্ব সনদ জমা দেয়।
তাদের এসব তথ্য যাচাইয়ের দায়িত্বে ছিলেন জেলা এসবির এ দুই এএসআই।
পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেন বলেন, সরেজমিনে ওই ঠিকানা যাচাইয়ের পর নোয়াখালী আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার দায়িত্বে ছিলেন ডিএসবির এএসআই আবুল কালাম আজাদ ও নুরুল হুদা।
“গত বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে এএসআই আবুল কালাম আজাদ ও নুরুল হুদাকে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। শুক্রবার তাদের কাছ থেকে পাওয়া জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় তাদের দয়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়।”
এসপি বলেন, জানান, বেগমগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শাহজাহান শেখকে পুরো বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। আগামী সোমবার তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর এ বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
“তাদের জন্ম নিবন্ধন সনদ ইস্যুর তারিখ দেখানো হয়েছে ২০১৫ সালের ২৮ জানুয়ারি। কিন্তু ইউনিয়ন পরিষদের নিবন্ধন রেজিস্টার বা অনলাইন সার্ভারে এর কোনো অস্তিত্ব নেই।
“মুসা ও আজিজের নামে দুটি নাগরিকত্ব সনদেই সিরিয়াল নম্বর দেওয়া হয়েছে ১৪৮৭। অথচ একটি নম্বরে একাধিক সনদ দেওয়ার সুযোগ নেই।”
চেয়ারম্যান আরও বলেন, “আমরা অনলাইনে দেখেছি আমাদের ইউনিয়ন পরিষদ থেকে জন্ম নিবন্ধন সনদগুলো ইস্যু করা হয়নি। এটা সম্পূর্ণ ভুয়া এবং জালিয়াতি।”