নোয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আলমগীর হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে একথা জানান।
এরা হলেন জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার (ডিএসবি) এএসআই আবুল কালাম আজাদ ও এএসআই নুরুল হুদা।
বৃহস্পতিবার রাতে চট্টগ্রাম নগরের সিডিএ ১ নম্বর রোডের মাথায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক থেকে তিন রোহিঙ্গাকে গ্রেপ্তার করেছে আকবরশাহ থানা পুলিশ। এই তিনজনই নোয়াখালী থেকে পাসপোর্ট তৈরি করেছেন।
এসপি আলমগীর বলেন, ডিএসবিতে কর্মরত ওই দুই পুলিশ কর্মকর্তা তিন রোহিঙ্গা তরুণের পাসপোর্ট আবেদনে দেওয়া ঠিকানা যাচাইয়ের দায়িত্বে ছিলেন।
“বৃহস্পতিবার এসপি অফিস থেকে তাদেরকে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানো হয়েছে। নোটিশে আগামী তিন দিনের মধ্যে তাদের এ বিষয়ে লিখিত জবাব দিতে বলা হয়েছে। জবাব পাওয়ার পর এ বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।”
এসপি আরও বলেন, নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার কাদরা ইউনয়নের ঠিকানা ব্যবহার করে তিন রোহিঙ্গা তরুণের বাংলাদেশি পাসপোর্ট নেওয়ার পুরো ঘটনাটি জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) দীপক জ্যোতি খীসার নেতৃত্বে তদন্ত করা হচ্ছে।
“তদন্তে এ ঘটনায় দায়িত্বপ্রাপ্ত ডিএসবি কর্মকর্তা, জাল সার্টিফিকেট সৃজনের সঙ্গে জড়িতরা এবং যারা কাগজপত্র সত্যায়ন করেছে তাদের প্রত্যেকে চিহ্নিত করা হবে এবং দায়ী প্রত্যেকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
গ্রেপ্তারের পর আকবরশাহ থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী জানিয়েছিলেন, ২০১৭ সালে আরাকানে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর অভিযান শুরুর পর তারা পালিয়ে বাংলাদেশে আসেন। কক্সবাজারের উখিয়ায় খাইয়াংখালী হাকিমপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে থাকছিলেন তারা।
তারা বাংলাদেশি পাসপোর্ট নিয়ে তুরস্কে যাওয়ার জন্য ভিসার আবেদন করতে তারা ঢাকা যাওয়ার পথে গ্রেপ্তার হয়েছেন বলে ওসি জানান।