জানাজার পর হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের মরদেহ আর ঢাকায় নিতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন রংপুর মহানগর জাতীয় পার্টির সভাপতি ও রংপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা।
Published : 15 Jul 2019, 03:13 PM
এরশাদের মৃত্যুর পর থেকে তাকে তার নিজ এলাকা রংপুরে দাফন করার দাবি জানিয়ে আসছেন সেখানকার জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা।
সোমবার রংপুর সেন্ট্রাল রোডস্থ দলীয় কার্যালয়ে এক শোকসভায় মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা বলেন, “জানাজা শেষে (এরশাদের) লাশ ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার অপচেষ্টা করা হলে রংপুরের নেতাকর্মীরা বুকের তাজা রক্ত দিয়ে হলেও প্রতিহত করবে।”
ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে রোববার মারা যান ৯০ বছর বয়সী এরশাদ।এরপর তার চারটি জানাজার কথা দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়।
এরই মধ্যে রোববার ঢাকা সেনানিবাসে সেনা জামে মসজিদে প্রথম ও সোমবার জাতীয় সংসদ প্রাঙ্গণে তার দ্বিতীয় জানাজা হয়। বাদ আসর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে তার তৃতীয় জানাজা হওয়ার কথা রয়েছে।
প্রয়াত এই সেনাশাসকের মরদেহ মঙ্গলবার সকালে হেলিকপ্টারে করে নেওয়া হবে রংপুরে। সেখানে চতুর্থ জানাজা শেষে মরদেহ ঢাকায় ফিরয়ে এনে সেনাবাহিনীর কবরস্থানে দাফন করার কথা।
তবে রোববার সকালে এরশাদের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে শোকাহত মানুষ রংপুরে জাতীয় পার্টির জেলা কার্যালয়ে ভিড় করেন। তারা দাবি তোলেন, রংপুরের সন্তান এরশাদকে যেন তার বাড়ি পল্লী নিবাসেই দাফন করা হয়।
সোমবারের শোকসভায় মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা বলেন, “জীবদ্দশায় হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদকে কোনোদিন ভালোভাবে রাজনীতি করতে দেওয়া হয়নি। মৃত্যুর পরও তাকে এবং তার দলকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।
“আমরা চাই হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের স্মৃতি বিজড়িত রংপুর নগরীর দর্শনা মোড়ের পল্লী নিবাসেই তার অসিয়তকৃত জায়গায় দাফন করা হোক। যদি না হয় তাহলে রংপুর ও রাজশাহী বিভাগীয় জাতীয় পার্টি প্রয়োজনে জীবন দিয়ে হলেও মরদেহ রংপুর থেকে ঢাকায় নিয়ে যেতে দেবে না।”
শোক সভায় সাবেক সংসদ সদস্য শাহানারা বেগম, কেন্দ্রীয় জাতীয় পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও রংপর মহানগরের সাধারণ সম্পাদক এসএম ইয়াসীর, কেন্দ্রীয় জাপার সাংগঠনিক সম্পাদক হাজী আব্দুর রাজ্জাক, গাইবান্ধা জেলা জাপার আহ্বায়ক আব্দুর রশীদ সরকারসহ রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।