শনিবার রাতে ফেনীর জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম শরাফ উদ্দিন আহম্মেদের আদালতে তারা ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।
বিকাল ৫টায় কামরুন নাহার মনি ও জাবেদ হোসেনকে আদালতে আনা হয়। সন্ধ্যার আগে শুরু করে কয়েকঘণ্টা তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়।
নুসরাতের সহপাঠী কামরুন নাহার মনি পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে বোরকা কেনার কথা স্বীকার করেছিলেন। এরপর পুলিশ মনিকে নিয়ে মাদ্রাসার ছাদ ও বোরকার দোকান পরিদর্শন করে। পিবিআই ওই বোরকা একটি খাল থেকে উদ্ধার করেছে।
পিবিআইয়ের চট্টগ্রামের বিশেষ পুলিশ সুপার মো. ইকবাল সাংবাদিকদের একথা জানিয়েছেন।
এ নিয়ে আলোচিত এ মামলায় নুসরাত হত্যার দায় স্বীকার করে সাতজন জবানবন্দি দিয়েছেন।
এর আগে স্বীকারোক্তি দেন নুর উদ্দিন, শাহাদাত হোসেন শামীম, আবদুর রহিম শরিফ, হাফেজ আবদুল কাদের ও উম্মে সুলতানা পপি।
সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি গত ৬ এপ্রিল সকালে আলিমের আরবি প্রথম পত্র পরীক্ষা দিতে মাদ্রাসায় গেলে কয়েকজন মিলে তার গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। ১০ এপ্রিল রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে দগ্ধ নুসরাতের মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাকে প্রধান আসামি এবং আটজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত পরিচয় আরও ৪/৫ জনকে আসামি করে নুসরাতের ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান ৮ এপ্রিল সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।
এ মামলায় এ পর্যন্ত ১৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ও পিবিআই।
এরা হলেন মাদ্রাসার অধ্যক্ষ এসএম সিরাজ উদ দৌলা, পৌর কাউন্সিলর ও পৌর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাকসুদ আলম, শিক্ষক আবছার উদ্দিন, নুসরাতের সহপাঠী আরিফুল ইসলাম, নূর হোসেন, কেফায়াত উল্যাহ জনি, মোহাম্মদ আলা উদ্দিন, শাহিদুল ইসলাম, অধ্যক্ষের ভাগনি উম্মে সুলতানা পপি, জাবেদ হোসেন, জোবায়ের হোসেন, নুর উদ্দিন, শাহাদাত হোসেন, মো. শামীম, কামরুন নাহার মনি, আবদুর রহিম শরিফ, হাফেজ আবদুল কাদের, সোনাগাজী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রুহুল আমিন এবং ইফতেখার উদ্দিন রানা।