ফেনীর সোনাগাজীর মাদরাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যা মামলার আরেক আসামি আদালতে স্বীকারোক্তীমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
Published : 17 Apr 2019, 11:11 PM
বুধবার বিকাল ৫টা থেকে রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত ফেনীর জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম সারাফ উদ্দিন আহমদের আদালতে আব্দুর রহিম শরিফের জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়।
পিবিআই-এর চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইকবাল বলেন, নুসরাত হত্যা মামলার অন্যতম আসামি শরিফ ঘটনায় জড়িত বলে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন।
“দীর্ঘ সময় ধরে দেওয়া জবানবন্দিতে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সম্পর্কিত অনেক তথ্য উঠে এসেছে। অপর আসামিদের তদন্তের স্বার্থে সবকিছু এই মুহূর্তে বলা যাবে না।”
পরবরতীতে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত তুলে ধরা হবে বলে জানান তিনি।
এর আগে গত রোববার মধ্যরাতে জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম জাকির হোসাইনের আদালতে নুসরাত হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন মামলার আসামি নুর উদ্দিন ও শাহাদাত হোসেন শামীম।
তারা অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার নির্দেশে নুসরাতের গায়ে আগুন দিয়েছে বলে স্বীকার করেছে। তাদের স্বীকারেক্তির ভিত্তিতে পিবিআই ঘটনায় জড়িত অপর আসামিদের গ্রেপ্তার করেছে।
আলোচিত এ মামলা এ পর্যন্ত ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ও পিবিআই।
এরা হলেন মাদ্রাসার অধ্যক্ষ এসএম সিরাজ উদ দৌলা, সোনাগাজী পৌর কাউন্সিলর ও পৌর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাকসুদ আলম, শিক্ষক আবছার উদ্দিন, সহপাঠী আরিফুল ইসলাম, নূর হোসেন, কেফায়াত উল্যাহ জনি, মোহাম্মদ আলাউদ্দিন, শাহিদুল ইসলাম, অধ্যক্ষের ভাগনি উম্মে সুলতানা পপি, জাবেদ হোসেন, যোবায়ের হোসেন, নুর উদ্দিন, শাহাদাত হোসেন, মো. শামীম, কামরুন নাহার মনি ও আব্দুর রহিম শরিফ।
এদের মধ্যে মামলার এজহারভুক্ত আট জনের সাতজন রয়েছেন।
গত ৬ এপ্রিল সকালে নুসরাত আলিমের আরবি প্রথম পত্র পরীক্ষা দিতে গেলে মাদ্রাসায় একদল তরুণ-তরুণী তার গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। দগ্ধ নুসরাত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১০ এপ্রিল রাতে মারা যান।
এ ঘটনায় মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাকে প্রধান আসামি করে আটজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত পরিচয় আরও ৪/৫ জনকে আসামি করে নুসরাতের ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান ৮ এপ্রিল সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।