টাঙ্গাইলে বাসে পরিবহণ শ্রমিকদের হাতে ‘দলবেঁধে ধর্ষণের শিকার মানসিক ভারসাম্যহীন’ সেই নারীর স্বজনদের খোঁজ পাওয়া গেছে।
Published : 03 Sep 2018, 12:07 AM
তাদের বাড়ি কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর উপজেরায়। গত ২৩ অগাস্ট তিনি রাজধানীর বোনের বাসা থেকে নিখোঁজ হন বলে স্বজনরা জানিয়েছেন।
এই বিষয়ে তার পরিবারের পক্ষ থেকে সাধারণ ডায়েরিও করা হয়।
তার ভাই জানান, রোববার তার পরিবারের সদস্যরা টাঙ্গাইল জেলা কারাগারের নিরাপত্তা হেফাজতে তার সঙ্গে দেখা করেছেন। তাকে পরিবারের জিম্মায় নেওয়ার জন্য আইনি প্রক্রিয়াও শুরু করেছেন স্বজনেরা।
মেয়েটির ভাই বলেন, গত মাসের শুরুতে ওই মেয়েটি কুষ্টিয়ার মিরপুরের বাড়ি থেকে ঢাকার সবুজবাগে বোনের বাসায় বেড়াতে যান। গত ঈদুল আজহার পরদিন বাসার কাউকে না বলে বাসা থেকে বের হয়ে যান। এরপর অনেক খোঁজাখুজির পরও কোথাও না পেয়ে তার বোন সবুজবাগ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
তার পরিবারের পক্ষ থেকে আইনজীবী শাহিন সিদ্দিকী বলেন, শনিবার টাঙ্গাইল থেকে পুলিশের তথ্য পেয়ে কুষ্টিয়ার মিরপুর থানা পুলিশ তাদের গ্রামের বাড়িতে খবর দেয়। পরে শনিবার রাতে পরিবারের সদস্যরা বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানায় এসে তাকে ছবি থেকে শনাক্ত করেন।
“রোববার দুপুরে টাঙ্গাইল জেলা কারাগারে নিরাপত্তা হেফাজতে থাকা নির্যাতিতা ওই যুবতীর সাথে তার পরিবারের সদস্যরা দেখা করেন। ইতিমধ্যেই তাকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার জন্য আইনি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।”
তার ভাইয়ের হেফাজতে দেওয়ার জন্য আগামীকাল সোমবার টাঙ্গাইল বিচারিক হাকিম আদালতে আবেদন জানানো হবে বলে এই আইনজীবী জানান।
বৃহস্পতিবার গভীর রাতে টাঙ্গাইল থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু যাওয়ার পথে একটি বাসের মধ্যে চালক আলম খন্দকার ও সুপারভাইজার বিষু মেয়েটি ধর্ষণের শিকার হন। এ সময় মেয়েটির চিৎকার শুনতে পেয়ে রেল স্টেশনের দায়িত্বে থাকা নৈশপ্রহরী বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার টহল পুলিশকে খবর দেন। পরে পুলিশ বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব এলাকায় বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে মেয়েটিকে উদ্ধার করে এবং হেলপার নাজমুলকে গ্রেপ্তার করে।
মেয়েটি ওই সময় তার নাম ছাড়া আর কিছু বলতে না পারায় পুলিশ তাকে মানসিক ভারসাম্যহীন বলে ধারণা করে।
শনিবার ডাক্তারি পরীক্ষার পর পুলিশের পক্ষ থেকে আদালতে হাজির করে সরকারি আশ্রয়কেন্দ্রে পাঠানোর আবেদন করা হলে আদালত তাকে গাজীপুরের পুবাইলে সরকারি আশ্রয়ন কেন্দ্রে পাঠানোর আদেশ দেয়।