বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার ওসি মোশাররফ হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার রাতে টাঙ্গাইল থেকে একটি বাস বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্বপার টার্মিনালে যায়। ওই বাসে ‘ধর্ষণের’ এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় বাসটির চালকের সহকারী নাজমুলকে (২২) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
টাঙ্গাইল কোর্ট ইন্সপেক্টর আনোয়ারুল ইসলাম জানান, জিজ্ঞাসাবাদ শেষে শুক্রবার বিকালে হেলপার নাজমুলকে আদালতে হাজির করা হয়। আদালত তাকে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেয়।
ওই থানার এসআই নূরে আলম সিদ্দিকী জানান, শুক্রবার রাতে তিনি নিজে বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় হলপার নাজমুল, চালক আলম ও সুপারভাইজার বিষুকে আসামি করা হয়েছে।
এর আগে টাঙ্গাইলের মধুপুরে গত বছর চলন্ত বাসে সিরাজগঞ্জের এক তরুণীকে দলবেঁধে ধর্ষণ শেষে হত্যা এবং তারও এক বছর আগে মধুপুরে চলন্ত বাসে আরেক তরুণীকে দলবেঁধে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।
ওসি মোশাররফ হোসেন বলেন, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে টাঙ্গাইল থেকে একটি বাস যাত্রী নিয়ে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্বপার টার্মিনালে যায়। পথে ওই মেয়েটি (২৫) ছাড়া সবাই তাদের গন্তব্যে নেমে যায়।
“এ সুযোগে একা পেয়ে ড্রাইভার, সুপারভাইজার ও হেলপার মিলে মেয়েটিকে ধর্ষণ করে।”
ওসি বলেন, একজন নৈশ প্রহরীর কাছে খবর পেয়ে মহাসড়কে টহলরত পুলিশ টার্মিনালে গিয়ে হাতেনাতে হেলপারকে ধরতে সক্ষম হয়। চালক আলম ও সুপারভাইজার বিষু পালিয়ে যান।
“তরুণীকে উদ্ধার করে পুলিশ হেফাজতে আনা হয়। মেয়েটি তার নাম আর বাড়ি কুষ্টিয়া ছাড়া কিছু বলতে পারছে না। তাই তাকে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী বলে ধারণা করছে পুলিশ।”
টাঙ্গাইলের কালিহাতি সার্কেলের জ্যেষ্ঠ পুলিশ সুপার মাসুদুর রহমান মনির বলেন, অপর দুইজনকে আটকের জন্য রাতভর অভিযান চলবে।
গত বছরের ২৫ অগাস্ট রাতে বাসে করে সিরাজগঞ্জ থেকে ময়মনসিংহ যাওয়ার পথে বাস চালক ও হেলপারের হাতে ধর্ষণের পর খুন হন সিরাজগঞ্জের তাড়াশের জাকিয়া সুলতানা রুপা। ওই রাতে টাঙ্গাইলের মধুপুর থানা পুলিশ ময়মনসিংহ-ঢাকা মহাসড়কের পঁচিশ মাইল এলাকায় রাস্তার পাশ থেকে রুপার লাশ উদ্ধার করে।
এর আগে ২০১৬ সালের ১ এপ্রিল টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী থেকে গাজীপুর যাওয়ার পথে বাস চালক ও দুই সহকারী বাসের মধ্যে তাকে হাত-পা ও মুখ বেঁধে ধর্ষণ করে।