গোপালগঞ্জে দুর্ঘটনায় দুইজন নিহত হওয়ার পর একটি বাস জ্বালিয়ে দিয়েছে বিক্ষুব্ধ জনতা। অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদে জেলার সব রুটে বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে মালিক সমিতি।
Published : 08 Apr 2018, 06:01 PM
জেলা বাস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল হোসেন জানান, রোববার দুপুর ১টার দিকে জেলা বাস মালিক সমিতির জরুরি সভায় জেলার সকল রুটে অনির্দিষ্টকালের জন্য বাস চলাচল বন্ধের সিদ্ধান্ত হয়।
এরপর থেকে পাঁচ উপজেলার পাঁচটি রুটে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে বলে জানান তিনি।
গোপালগঞ্জ সদর থানার ওসি মনিরুল ইসলাম জানান, দুর্ঘটনার প্রতিবাদে মহাসড়কের চন্দ্রদিঘলিয়া থেকে গোপিনাথপুর পর্যন্ত আড়াই কিলোমিটার অবরোধ করে পলিটেকনিকের শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা কয়েকটি যানবাহন ভাংচুর এবং দুর্ঘটনাকবলিত বাসটি পুড়িয়ে দেয়।
“এ সময় সড়কের দুপাশে শতাধিক যানবাহন আটকা পড়ে। পরে পুলিশ উত্তেজিত ছাত্রদের সঙ্গে বৈঠক করে এবং দুপুর সোয়া ১টার দিকে তারা অবরোধ তুলে নেয়।”
ওসি বলেন, এদিকে বাস পোড়ানোর প্রতিবাদে শ্রমিকরা শহরের পুলিশ লাইন মোড়ে ঢাকা খুলনা মহাসড়ক দুপুরে সাড়ে ১২টা থেকে ১টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত অবরোধ করে রাখে। তারা সেখানে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।
এতে ঘটনাস্থলে গোপালগঞ্জ চন্দ্রদিঘলিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ফুড টেকনোলজি বিভাগের দ্বিতীয় পর্বের প্রথম সেমিস্টারের ছাত্র কাশিয়ানী উপজেলার তিলছড়া গ্রামের আনিচ মোল্লার ছেলে আশিকুর রহমান রেজা (১৭) নিহত হন। আহত হয়েছেন অন্তত ২৫ জন যাত্রী। গোপালগঞ্জ জেনারলে হাসপাতালে নেওয়ার পর আহতদের মধ্যে রুকু মোল্লা (৬৫) নামের একজন মারা যান। রুকু মোল্লা গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য ছিলেন।