গুলশানের আর্টিজান ক্যাফেতে কমান্ডো অভিযানের সময় নিহত সন্দেহভাজন হামলাকারী বগুড়ার ধুনটের শফিকুল ইসলাম উজ্জ্বলের বাবা ও ভাইকে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ।
Published : 06 Jul 2016, 08:17 PM
বুধবার দুপুরে উজ্জ্বলের বাবা বদিউজ্জামান (৫৫) ও বড় ভাই আসাদুল ইসলাম (৩২) বাড়ি ফেরেন।
তবে তাদেরকে উজ্জ্বলের লাশ দেয়নি; দেখানোও হয়নি।
সোমবার সন্ধ্যায় বদিউজ্জামান ও আসাদুল ইসলামকে বাড়ি থেকে থানায় নেওয়া হয়। সেখান থেকে নেওয়া হয় ঢাকা।
ধুনট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) পঞ্চানন দাস বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ডিএনএ পরীক্ষার জন্য উজ্জ্বলের বাবা-ভাইকে ঢাকা নেওয়া হয়েছিল। কাজ শেষে বুধবার দুপুরে তাদের বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
উজ্জ্বলের চাচা ভাণ্ডারবাড়ি ইউনিয়নের সাবেক ওয়ার্ড সদস্য আফজাল হোসেন বলেন, বেলা দেড়টার দিকে তার ভাই ও ভাতিজাকে পুলিশ বাড়ি পৌঁছে দিয়েছে।
উজ্জ্বলের বাবা বদিউজ্জামান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তার থেকে রক্ত নেওয়া হয়েছে। তার ছবিও তোলা হয়েছে।
তিনি বলেন, উজ্জ্বলের সঙ্গে তার ডিএনএ মিলানো হবে। মিললে লাশ তাদের দেওয়া হবে।
তারা লাশ দিতে বলেছিলেন, কিন্তু দেওয়া হয়নি। এমনকি দেখতেও দেয়নি বলে জানান তিনি।
গত শুক্রবার রাতে গুলশানে হলি আর্টিজান ক্যাফেতে সন্ত্রাসী হামলায় তিন বাংলাদেশি ও ১৭ বিদেশিসহ ২০ জন নিহত হন।
পরে জিম্মি উদ্ধার অভিযানে ছয় হামলাকারী নিহত এবং একজন জীবিত অবস্থায় ধরা পড়েন বলে সরকারের পক্ষ থেকে প্রাথমিকভাবে জানানো হয়। পরে নিহত ছয়জনের নাম উল্লেখ করে মামলাও করে পুলিশ।
পরিবারের সদস্যরা জানান, শফিকুল ইসলাম উজ্জ্বল ২০০৫ সালে গোসাইবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং ২০০৭ সালে গোসাইবাড়ি ডিগ্রি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। এরপর বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজে ভর্তি হন। কিন্তু সেখানে লেখাপড়া শেষ না করে ঢাকা চলে যান।
ঢাকার সাভার উপজেলার আশুলিয়ার শাজাহান মার্কেট এলাকায় একটি কিন্ডারগার্টেনে শিক্ষকতা করেন।
উজ্জ্বল ছয় মাস আগে সর্বশেষ বাড়ি এসেছিলেন বলে জানান তার বাবা বদিউজ্জামান। কয়েকদিন বাড়ি থেকে চলে যাওয়ার পর আর যোগাযোগ ছিল না।