ছেলের বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ, বাবাকে ধরে এনে নির্যাতন

মারধর বা টাকা চাওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন নরসিংদীর ইউপি চেয়ারম্যান মো. কাউছার রশিদ বিপ্লব।

নরসিংদীর মনোহরদীতে ছেলের বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ তুলে বাবাকে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে আটকে রেখে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে।

তাকে ছাড়ার জন্য ইউপি চেয়ারম্যান টাকা দাবি করেছেন বলেও অভিযোগ ভুক্তভোগীর পরিবারের।

ভুক্তভোগী আঙ্গুর মিয়া (৫০) মনোহরদী উপজেলার খিদিরপুর ইউনিয়নের পাড়াতলা গ্রামের আওয়াল নবীর ছেলে। তিনি মনোহরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছেন।

তবে আটক করা হলে তাকে মারধর বা টাকা চাওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন ইউপি চেয়ারম্যান মো. কাউছার রশিদ বিপ্লব।

ভুক্তভোগীর পরিবারের অভিযোগ, মঙ্গলবার সকালে চেয়ারম্যানের লোকজন আঙ্গুর মিয়াকে বাড়ি থেকে তুলে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে নিয়ে যায়। পরে সেখানে আটকে রেখে দিনভর তাকে নির্যাতন করা হয়। পরে রাত ২টায় মুচলেকা রেখে স্থানীয় ইউপি সদস্যের জিম্মায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

ভুক্তভোগীর স্ত্রী রিমা আক্তার বলেন, মিথ্যা অভিযোগে ছেলেকে বাসায় না পেয়ে চেয়ারম্যানের লোকজন তার স্বামীকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে যায়।

“আমি রাতে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে আমার স্বামীকে ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ করেছি কিন্তু তারা আমার অনুরোধ রাখেনি। উল্টো চেয়ারম্যান আমার কাছে এক লাখ টাকা দাবি করেছেন।”

তিনি আরও বলেন, “আমার ছেলে অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকলে সাক্ষী প্রমাণের ভিত্তিতে তার বিচার করা হোক।

“কিন্তু আমার স্বামীকে এভাবে ধরে এনে মিথ্যা অপরাধ দিয়ে মারপিট করায় আমাদের মানসম্মানের হানি হয়েছে। আমি চেয়ারম্যানের বিচার চাই। “

এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মো. কাউছার রশিদ বিপ্লব বলেন, “আঙ্গুর মিয়ার ছেলে সাদিকুল আগেও গরু-ছাগল চুরি করেছে। তার এক সহযোগীকে (১৬) আটক করা হয়েছে।

“আঙ্গুরের ছেলেকে বাড়িতে না পেয়ে সন্ধ্যা ৫টার দিকে লোকজন তাকে ধরে নিয়ে এসেছে। তবে তাকে মারধর করা হয়নি এবং কোনো টাকাও চাওয়া হয়নি। “

মনোহরদী থানার ওসি মো. ফরিদ উদ্দিন বলেন, “চুরির অভিযোগে দুইজনকে আটক করা হয়েছে বলে চেয়ারম্যান জানিয়েছেন। তবে ছেলেকে না পেয়ে পিতাকে আটক করার বিষয়টি জানা নেই।”

খোঁজ-খবর নিয়ে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান ওসি।