পুলিশের ধারণা, চার থেকে পাঁচদিন আগে তাকে হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।
Published : 12 Apr 2025, 07:47 PM
পটুয়াখালীতে সদর উপজেলার হাত-পা ও মুখ বাঁধা অবস্থায় একজনের ঝুলন্ত অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শনিবার দুপুরে উপজেলার আউলিয়াপুর ইউনিয়নের বড় আউলিয়াপুর গ্রামে মরদেহটি পাওয়া যায় বলে পটুয়াখালী সদর থানার ওসি ইমতিয়াজ আহম্মেদ জানান।
নিহত মো. আলমগীর তালুকদার (৫০) ওই উপজেলার জৈনকাঠি ইউনিয়নের কেশবপুর ঠ্যাংগাই গ্রামের মোজাম্মেল তালুকদারের ছেলে।
নিহতের ছেলে মো. রিয়াজ তালুকদার (৩০) বলেন, “মঙ্গলবার থেকে বাবাকে মোবাইল ফোনে পাচ্ছিলাম না। ধারণা করছি, সেদিনই তাকে হত্যা করা হয়েছে।”
তিনি বলেন, “আমার নানার ছয় মেয়ে। কোনো ছেলে নাই। তাই নানার সম্পত্তিতেই বাবা পাকা ঘর তুলে বসবাস করতেন। আমি ও মা ঢাকায় থাকি। মা ঈদের আগের দিন বাড়িতে আসেন। আমি ঈদের পরের দিন বাড়িতে আসি। ঈদের চার দিন পর ঘটনাস্থল থেকে দুই মিনিটের পথ আমার নানা বাড়ি। সেখানে আমার খালাতো বোনের বিবাহ অনুষ্ঠানে বাবাসহ আমরা সবাই ছিলাম।
“এরপর মঙ্গলবার থেকে বাবার মোবাইল বন্ধ তাই তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারিনি কেউই। আমরা ঢাকায় থাকায় ওই বাড়িতে বাবা একাই বসবাস করতেন।”
রিয়াজ আরও বলেন, “শনিবার সকালে আমি ও আমার মা মাটি কাটার জন্য শ্রমিক নিয়ে বাড়িতে গিয়ে পচা গন্ধ পেয়ে ঘরের তালা ভেঙে ভেতরে ঢুকলে বাবার মরদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পাই।”
তিনি বলেন, “আমার বাবার সঙ্গে কারও শত্রুতা ছিল না। কে বা কারা তাকে এভাবে হত্যা করেছে, তা বুঝে উঠতে পারছি না। বাবা কোনো দিন বলেনও নাই কিছু। আমার বাবার হত্যার বিচার চাই।”
ওসি ইমতিয়াজ বলেন, “হাত-পা ও মুখ বাঁধা অবস্থায় আলমগীরের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এটি হত্যাকাণ্ড, তবে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। লাশ যেভাবে পচন ধরেছে তাই ধারণা করা হচ্ছে চার থেকে পাঁচদিন আগে তাকে হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।”
লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
পটুয়াখালী জেলা পুলিশ সুপার আনোয়ার জাহিদ সাংবাদিকদের বলেন, “ঘটনাটি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। সিআইডি ও পিবিআই যৌথভাবে কাজ করছে। ঘটনার সঙ্গে যারাই জড়িত থাকুক না কেন তাদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।”