“ওই এলাকায় কয়েক দিন ধরে বড়শিতে ভালোই মাছ ধরা পড়ছে,” বলেন মৎস্য কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন।
Published : 16 Mar 2025, 11:11 PM
বঙ্গোপসাগরের সেন্ট মার্টিন চ্যানেলে মৌলভীর শীল এলাকায় বড়শিতে ধরা পড়েছে ২৬০টি লাল কোরাল ও ভোল মাছ। এ ছাড়া অন্য ছোট মাছও ধরা পড়েছে।
কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপ এলাকার জালিয়া পাড়ার বাসিন্দা ওমর ফারুক ও মোহাম্মদ হোসেনের মালিকানাধীন নৌকার জেলেদের বড়শিতে মাছগুলো ধরা পড়ে।
রোবার দুপুরে মাছ নিয়ে জেলেরা টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ জালিয়া পাড়া নৌঘাটে নামলে উৎসুক জনতা দেখার জন্য ভিড় করেন।
ধরা পড়া একেকটি মাছের ওজন এক থেকে দুই কেজি এবং বড়গুলোর ওজন ছয় কেজির বেশি।
টেকনাফ এলাকায় বড়শি দিয়ে সাগরে মাছ ধরার প্রচলন তুলনামূলক কম। শাহপরীর দ্বীপের জালিয়া পাড়া ঘাট থেকে ১০ থেকে ১২ নৌকা সাগরে বড়শি দিয়ে মাছ ধরতে যায়।
ধরা পড়া লাল কোরাল ভেটকি নামেও পরিচিত। চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় স্থানীয় লোকজন এই মাছকে রাঙা ছইক্কা বা রাঙাচয় নামে চেনে।
নৌকার মালিক ওমর ফারুক বলেন, শনিবার বিকেল ৪টার দিকে শাহপরীর দ্বীপ জালিয়া পাড়া ঘাট থেকে নৌকা দুটি সাগরে যায়। তার নৌকায় চারজন জেলে ছিলেন। সন্ধ্যায় মৌলভীর শীল এলাকায় সেন্ট মার্টিন চ্যানেলে নৌকাটি নোঙর করে জেলেরা ১৪০০ বড়শি ফেলেন।
তিনি বলেন, ঘন্টাখানেক পরে বড়শিতে মাছ আটকাতে শুরু করে। প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে জেলেরা বড়শি ফেলে ১৬০টি লাল কোরাল ও ভোল মাছ ধরেছেন। পাশের আর একটি নৌকার জেলেরা বড়শি ফেলে ছোট বড় একশটির বেশি লাল কোরাল ধরেছেন।
পরে মাছগুলো ঘাটে নিয়ে এসে ২৫ হাজার টাকা মণ দরে ৩ লাখ ৭০ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়।
বড়শি ফেলে একসঙ্গে এতগুলো বড় মাছ ধরতে পেরে আনন্দিত মোহাম্মদ হোসেনের নৌকার মাঝি ভিলেন মান্না।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, জেলেরা বড়শি তুলতে গিয়ে দেখেন, অনেক ভারী। একের পর এক বড়শি টেনে দেখা যায় ছোট বড় অনেক লাল কোরাল ও ভোল মাছ ধরা পড়েছে।
মাছ গুলো ঘাটে এনে স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ী মোহাম্মদ জাকিরের কাছে বিক্রি করা হয়েছে।
জাকির বলেন, ভোল ও লাল কোরালগুলো ৩ লাখ ৭০ হাজার টাকায় কিনেছেন। তবে স্থানীয় বাজারে প্রতি কেজি বিক্রি হয়ে থাকে ৫০০-৬০০ টাকায়। এখন মাছগুলো বরফ দিয়ে প্যাকেট করে উপযুক্ত দাম পাওয়ার জন্য চট্টগ্রামে নেবেন তিনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে টেকনাফ উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “শাহ পরীর দ্বীপে দুইটি নৌকায় বড়শিতে ২৬০টি লাল কোরাল ও ভোল মাছ ধরা পড়ছে। ওই এলাকায় কয়েক দিন ধরে বড়শিতে ভালোই মাছ ধরা পড়ছে।”
মৎস্য কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন বলেন, এই মাছ উষ্ণমণ্ডলীয় অঞ্চল, বিশেষত পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগর ও ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে দেখা যায়। এপ্রিল থেকে অগাস্ট মাস এ মাছের মূল প্রজননকাল।