শহরের উকিলপাড়া, সাহেববাড়ি ঘাট, আরপিননগর ও জামাইপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় নদীর পানি প্রবেশ করেছে
Published : 17 Jun 2024, 12:01 PM
পাহাড়ি ঢল ও ভারি বৃষ্টিতে নদীর পানি আরও বেড়েছে। প্রবল বেগে পানি প্রবাহে তলিয়ে গেছে রাস্তাঘাট।
জেলার প্রধান নদী সুরমার পানি দুটি পয়েন্টে বিপদৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। দুই উপজেলার পাশাপাশি পানি প্রবেশ করেছে সুনামগঞ্জ শহরেও। এ পরিস্থিতিতে ঈদুল আজহা উদযাপনে ভাটা পড়েছে।
সোমবার সকালে সুনামগঞ্জ পয়েন্টে সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার জানান।
আর ছাতক পয়েন্টে প্রবাহিত হচ্ছে বিপৎসীমার ১ দশমিক ৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে।
রোববার মধ্যরাত থেকেই সুনামগঞ্জে ভারি বর্ষণ শুরু হয়েছে। রাত ১২টা থেকে বিদ্যুতহীন রয়েছে জেলার বিভিন্ন এলাকা। সোমবার সকাল থেকে বর্ষণের সঙ্গে বজ্রপাতও চলছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী পাউবোর বন্যা সতর্কীকরণ কেন্দ্রের বরাতে বলেন, “সোমবার ভোর থেকে সুনামগঞ্জে স্বল্পকালীন বন্যা শুরু হয়েছে। ভারি বর্ষণ চলছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৬৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।
“পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জের ছাতক ও দোয়ারাবাজার সীমান্ত এলাকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকার ঘরবাড়িতে পানি ঢুকে পড়ছে; ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সড়ক ও ঘরবাড়ি।”
এছাড়া শহরের উকিলপাড়া, সাহেববাড়ি ঘাট, আরপিননগর ও জামাইপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় নদীর পানি প্রবেশ করেছে বলে জানান মামুন।
এদিকে সুনামগঞ্জের সব স্কুল-কলেজকে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে জানান জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরী।
তিনি বলেন, “এখনও আশ্রয় কেন্দ্রে কেউ ওঠেনি। বন্যার্তদের জন্য শুকনো খাবার ও জিআরের চালসহ ত্রাণ মজুদ আছে। পরিস্থিতি বিবেচনা করে আরও ত্রাণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বলা আছে। তবে এখনও আশঙ্কাজনক পরিস্থিতি তৈরি হয়নি।”