বরিশালের কীর্তনখোলা নদীতে বাল্কহেড ও স্পিড বোট সংঘর্ষের ঘটনায় পাঁচজনের লাশ উদ্ধার করল নৌ-পুলিশ।
Published : 13 Dec 2024, 06:57 PM
বরিশালের কীর্তনখোলা নদীতে বাল্কহেড ও স্পিড বোট সংঘর্ষের আট দিন পর নিখোঁজ আরও এক যাত্রীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
সবশেষ একজনের লাশ নিয়ে এ ঘটনায় স্পিড বোটের চালকসহ পাঁচজনের মৃতদেহ উদ্ধার করল নৌ-পুলিশ।
শুক্রবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে দপদপিয়া সেতু সংলগ্ন কীর্তনখোলা নদীতে ভাসমান অবস্থায় ওই যাত্রীর লাশ উদ্ধার করা হয় বলে জানান বরিশাল সদর নৌ থানার ওসি সনাতন চন্দ্র সরকার।
নিহত সজল দাস (৩০) বাবুগঞ্জ উপজেলার রহমতপুরের দুলাল দাসের ছেলে।
ওসি সনাতন চন্দ্র জানান, লাশ উদ্ধারের পর সজল দাসের পরিবারকে খবর দেওয়া হয়। পরে স্বজনরা এসে মৃতদেহটি শনাক্ত করেন।
নিয়মানুযায়ী সজলের মৃতদেহ পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেওয়ার কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলে জানান তিনি।
এর আগে ৫ ডিসেম্বর বিকালে কীর্তনখোলা নদীতে স্পিড বোট ও বাল্কহেডের সংঘর্ষ হয়। পরে নদী থেকে জালিস মাহমুদ (৫০) নামের এক যাত্রীর লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনার পর প্রাথমিকভাবে চারজন নিখোঁজের কথা জানিয়েছিল পুলিশ।
ঘটনার তিন দিন পর রোববার দুর্ঘটনাস্থলের কাছাকাছি স্থান থেকে তিনজনের মৃতদেহ উদ্ধার করে নৌ-পুলিশ।
উদ্ধার হওয়া মৃতদেহ তিনটির মধ্যে একটি স্পিড বোট চালক আল আমিন (২৩), অপর দুটি যাত্রী মো. ইমরান হোসেন ইমন (২৯) এবং মো. রাসেল আমিনের (২৪)।
এর মধ্যে আল আমিন ভোলা সদরের ভেদুরিয়ার উত্তর চর এলাকার মো. সিদ্দিকের ছেলে এবং যাত্রী মো. ইমরান হোসেন ইমন ভোলা সদরের ধনিয়া এলাকার মো. শাহাবুদ্দিনের ছেলে।
প্রাথমিকভাবে ওই দুর্ঘটনার পর চারজন নিখোঁজের কথা জানিয়েছিল পুলিশ। সবশেষ এক যাত্রীর মৃতদেহ উদ্ধারের মধ্য দিয়ে এ ঘটনায় পাঁচজনের মৃত্যু হল।
কীর্তনখোলায় নিখোঁজ চারজনের মধ্যে ৩ জনের লাশ উদ্ধার
বরিশালে বাল্কহেড-স্পিড বোট সংঘর্ষ: নিখোঁজ ৩ জনের পরিচয় মিলেছে