Published : 26 Jul 2024, 08:59 PM
রংপুরে কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আবু সাঈদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
শুক্রবার সকালে শিক্ষকদের একটি প্রতিনিধি দল সাঈদের গ্রামের বাড়ি পীরগঞ্জ উপজেলায় গিয়ে তার মা-বাবার হাতে সাড়ে সাত লাখ টাকার একটি চেক তুলে দেন বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর শরিফুল ইসলাম।
চেক পেয়ে আবু সাঈদের বাবা মকবুল হোসেন বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আগেও একদিন দেখা করতে এসেছিল। সেই সময় ভিসি স্যার আমার সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলেছেন। খোঁজখবর নিয়েছেন। আমাদের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
“আমি স্যারকে বলেছিলাম, আমাদের পরিবারের একজনকে যেন বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি দেওয়া হয়। ভিসি স্যার আশ্বস্ত করেছেন। প্রতিদিনই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কেউ না কেউ খোঁজ রেখেছেন।”
আর্থিক সহায়তা প্রদানের সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ছাড়াও বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক তুহিন ওয়াদুদ এবং শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান মণ্ডল আসাদ উপস্থিত ছিলেন।
প্রক্টর শরিফুল ইসলাম বলেন, উপাচার্যের নির্দেশে আবু সাঈদের পরিবারের সঙ্গে সবসময় যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। উপাচার্য নিজেও সাঈদের পরিবারের খোঁজখবর রাখছেন।
এরই অংশ হিসেবে সাঈদের পরিবারকে সাড়ে সাত লাখ টাকা প্রদান করা হয়েছে; এ ধারা অব্যাহত থাকবে বলে জানান প্রক্টর।
কোটা সংস্কারের দাবিতে ১৬ জুলাই বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন পার্ক মোড়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন আবু সাঈদ।
২৫ বছরের সাঈদ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বাদশ ব্যাচের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি পীরগঞ্জ উপজেলার মদনখালী ইউনিয়নের বাবনপুর গ্রামের মকবুল হোসেনের ছোট ছেলে।
সাঈদ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ছিলেন।
আরও পড়ুন...
কোটা আন্দোলন: রংপুরে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে শিক্ষার্থী নিহত, আহত শ
কোটা: 'ও ভাইও হামাক এনা বোন কয়া ডাকো রে', সাঈদের বোনের আহাজারি