২০১৬ সালের ৩০ মে কেন্দুয়ায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বিএনপির কার্যালয়ে হামলা ও হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটনায় বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে।
Published : 21 Nov 2024, 11:07 PM
নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলায় আট বছর আগে বিএনপির শোক মিছিল ও কার্যালয়ে হামলার ঘটনায় সাবেক পৌর মেয়রসহ ৬০ জনকে আসামি করে বিস্ফোরক আইনে মামলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে নেত্রকোণা জেলা বিএনপির সদস্যসচিব রফিকুল ইসলাম হিলালীর গাড়িচালক মো. জামাল উদ্দিন মামলাটি করেন বলে জানান কেন্দুয়া থানার ওসি মিজানুর রহমান।
মামলার প্রধান আসামি সাবেক পৌর মেয়র মো. আসাদুল হক ভূঞা কেন্দুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি অন্য আরেক মামলায় কারাগারে আছেন। এ ছাড়া দ্বিতীয় আসামি করা হয়েছে কেন্দুয়া থানার তৎকালীন এসআই আব্দুল কাদেরকে।
বাদী জামাল উদ্দিন কেন্দুয়া পৌর শহরের বাদে আঠারো বাড়ি এলাকার বাসিন্দা।
মামলার বরাতে ওসি মিজানুর রহমান জানান, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী পালন উপলক্ষে ২০১৬ সালের ৩০ মে কেন্দুয়ায় একটি শোকর্যালি বের হয়। র্যালিটি পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের জয় হরি স্প্রাই সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ের কাছে পৌঁছালে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা দেশি অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়।
কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া নেতাকর্মীরা প্রাণভয়ে দলীয় কার্যালয়ে আশ্রয় নিয়ে গেইট আটকে দেন। কিন্তু আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা গেইট ভেঙে কার্যালয় ভাঙচুরের পাশাপাশি হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটনায়। এতে প্রায় ১৬ লাখ টাকার ক্ষতি হয়।
সেই সময় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য রফিকুল ইসলাম হিলালীর জামার কলার ধরে তার মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে হুমকি দেয় বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
সেই সময় পরিস্থিতি অনুকূলে না থাকায় মামলা করা সম্ভব হয়নি; বর্তমানে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকায় মামলা করা হয়েছে বলে বাদী জামাল উদ্দিন মামলায় উল্লেখ করেছেন।
বিএনপি নেতা রফিকুল ইসলাম হিলালী বলেন, “সেদিন তারা আমাকে হত্যার চেষ্টা করেছিল। নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছিল। বিএনপির কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছে। আইনের আশ্রয় নেওয়া হয়েছে। আশা করছি সুবিচার পাব।”
রাতে ওসি মিজানুর রহমান বলেন, মামলাটি বিস্ফোরক আইনে নথিভুক্ত হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।