সড়ক থেকে পানি না নামায় খাগড়াছড়ির সঙ্গে সাজেক ও লংগদুর সড়ক যোগাযোগ এখনো বন্ধ রয়েছে।
Published : 23 Aug 2024, 04:36 PM
বৃষ্টি না থাকায় খাগড়াছড়ি জেলা সদরের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। আশ্রয় কেন্দ্র থেকে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছে মানুষ। তবে নিচু এলাকা হওয়ার কারণে দীঘিনালার মেরুং ইউনিয়নের বেশির ভাগ গ্রাম এখনো পানিবন্দি।
মেরুং ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ঘনশ্যাম ত্রিপুরা বলেন, বন্যায় ইউনিয়নের অন্তত ৪০ গ্রামের মানুষ এখনো পানিবন্দি। মেরুং বাজার এখনো পানিতে প্লাবিত।
শুক্রবার দুপুরে সরেজমিনে মেরুংয়ে একাধিক এলাকায় গিয়ে দেখা যায় বিভিন্ন গ্রামের অনেক ঘরবাড়ি এখনো পানির নীচে।
মেরুং ইউনিয়নের প্রত্যন্ত গ্রাম ছদকা ছড়া। নৌপথে মেরুং বাজার থেকে যেতে সময় লাগে দেড় ঘণ্টা। সেখানে গিয়ে দেখা যায় ছদকাছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এখনো অন্তত সাত ফুট পানির নীচে।
ছদকাছড়া গ্রামের বাসিন্দা ও স্থানীয় কার্বারি এপেকশন চাকমা বলেন, "সোমবার থেকে পানি বাড়তে শুরু করেছে। এখনো গ্রাম থেকে পানি নেমে যায়নি। আরো কয়েকদিন সময় লাগবে। বৃষ্টি না থাকলে পানি কমবে। এই নিয়ে এ বছর আমরা চার দফায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি।”
মেরুং ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সমীরন চাকমা বলেন, “আমার ওয়ার্ডের সাতটি গ্রাম এখনো বন্যার পানিতে ডুবে আছে। সোমবার রাত থেকে তারা পানিবন্দি।”
মেরুং ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ঘনশ্যাম ত্রিপুরা বলেন, মেরুং ইউনিয়নের প্লাবিত অনেক গ্রামে মোবাইল সংযোগ নেই। শুক্রবার সেসব দুর্গম এলাকায় ত্রাণ সহায়তা দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। সবকটি আশ্রয়কেন্দ্রে পর্যাপ্ত ত্রাণ সহায়তা দেওয়া হয়েছে। "
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো.মামুনুর রশিদ বলেন, “আজকে (শুক্রবার) আমরা একেবারে প্রত্যন্ত এলাকায় ত্রাণ দিয়েছি। দেড় শতাধিক পরিবারকে শুকনো খাবার, চাল, ডালসহ খাদ্য উপকরণ দেওয়া হয়েছে। যে সমস্ত এলাকায় মোবাইল নেটওয়ার্ক নেই তাদের পরিস্থিতি আমরা সরেজমিনে দেখেছি। "
প্রশাসনের পাশাপাশি জেলা ও উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা মেরুং ইউনিয়নে ত্রাণ সহায়তা দিয়েছে।
তবে সড়ক থেকে পানি না নামায় খাগড়াছড়ির সঙ্গে সাজেক ও লংগদুর সড়ক যোগাযোগ এখনো বন্ধ রয়েছে।