“অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে হাসপাতালে আনার আগেই তিনি মারা গেছেন।”
Published : 14 Oct 2024, 02:30 PM
কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলায় সালিশ বৈঠক চলাকালে দুই পক্ষের সংঘর্ষ থামাতে যাওয়া এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
উপজেলার খিলা ইউনিয়নের সাতেশ্বর গ্রামে রোববার রাত ৯টার দিকে এ ঘটনায় আরও অন্তত ছয়জন আহত হয়েছেন বলে মনোহরগঞ্জ থানার ওসি বিপুল চন্দ্র দে জানান।
নিহত মো. বাবুল মিয়া (২৭) ওই গ্রামের সোলেমান মিয়ার ছেলে।
স্থানীয়রা জানায়, রোববার দুপুরে সাতেশ্বর গ্রামের নড়াই বাড়ির পাশ দিয়ে অটোরিকশা চালিয়ে যাচ্ছিল একই গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে রিমন ওরফে হৃদয় মিয়া। দ্রুত গতিতে অটোরিকশা চালিয়ে যাওয়ায় ওই বাড়ির শিশুদের শরীরে ধাক্কা লাগে। এ নিয়ে ওই বাড়ির বাসিন্দাসহ স্থানীয়দের সঙ্গে দুই দফায় হৃদয়ের বাকবিতণ্ডা ও হাতাহাতি হয়৷ ঘটনাটি সমাধানের জন্য সন্ধ্যার পর সাতেশ্বর পূর্বপাড়া মনতাজের দোকানের সামনে সালিশ বৈঠক বসে।
এ সময় খিলা ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন, স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য ও ৩ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সহ-সভাপতি আবদুল মতিন, ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি এমরান হোসেনসহ গ্রামের মাতব্বররা দুপক্ষকে মিলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু অটোরিকশা চালক হৃদয়সহ তার পক্ষে থাকা রুবেল, অন্তর, সুমন, রিপন, আবদুল্লাহসহ বেশ কয়েকজন এ সিদ্ধান্ত মেনে না নিয়ে অপর পক্ষের ওপর হামলা করে। তখন দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে ওসি বিপুল বলেন, “এক পর্যায়ে বাবুলসহ স্থানীয়রা তাদেরকে থামাতে গেলে হৃদয়সহ তার লোকজন তাদের চাপাতি দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে শুরু করে। এ সময় বাবুলকে পায়ে, পিঠে ও হাতে কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। পরে দ্রুত তাকে উদ্ধার করে লাকসাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক জানান, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে হাসপাতালে আনার আগেই তিনি মারা গেছেন।”
এ ঘটনায় গুরুতর আহত দুলাল মিয়া, আবদুল মান্নান, মনির হোসেন, যুবদল নেতা এমরান হোসেনসহ ছয়জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।
তিনি বলেন, আড়াই বছর বয়সী পুত্র সন্তানের জনক পেশায় দিনমজুর বাবুলের লাশ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। ঘটনায় জড়িত হৃদয়সহ অন্যদের আটকের চেষ্টা করছে পুলিশ।