ঢাকার সমাবেশে বাধা দেওয়া হবে না: ওবায়দুল কাদের

আগুন সন্ত্রাস আর লাঠি নিয়ে বের হলে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা চুপ করে থাকবে না, ওবায়দুল কাদের।

জামালপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 Nov 2022, 04:44 PM
Updated : 28 Nov 2022, 04:44 PM

বিএনপির সাংগঠনিক বিভাগীয় সমাবেশের সর্বশেষ ঢাকারটিতে বাধা দেওয়া হবে না বলেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

সোমবার জামালপুরে দলের সম্মেলনে তিনি বলেন, আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপির সমাবেশে কোনো বাধা দেওয়া হবে না। কিন্তু আগুন সন্ত্রাস আর লাঠি নিয়ে বের হলে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা চুপ করে থাকবে না।

“বিএনপির আগুন সন্ত্রাস, নৈরাজ্যর বিরুদ্ধে, অর্থ পাচারের বিরুদ্ধে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে, ভোট চুরির বিরুদ্ধে, দুঃশাসনের বিরুদ্ধে খেলা হবে।”

বিএনপি আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় সমাবেশ করবে। তবে তারা নয়া পল্টন এই সমাবেশ করতে চাইলেও সরকার সেখানে করতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে।

এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, বিএনপি নয়া পল্টনের কথা বললেও তাদের আবেদনে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের নামও রয়েছে।

পঁচাত্তরের পর বাংলাদেশে শেখ হাসিনার চেয়ে ভালো, সাহসী ও জনপ্রিয় মানুষ একজনও নেই বলে মন্তব্য করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

ওবায়দুল কাদের বলেন, কারবালায়ও শিশু হত্যা হয়নি, নারী হত্যা হয়নি; কিন্তু পঁচাত্তরে অবলা নারী ও শিশুকেও হত্যা করা হয়েছে। এরপর জয়বাংলা নিষিদ্ধ করা হয়, ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণও নিষিদ্ধ করা হয়,  মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধও নিষিদ্ধ হয়ে যায়।

“আর এসবের হোতা খন্দকার মোশতাকের প্রধান সেনাপতি জিয়াউর রহমান। এর সন্তান হাওয়া ভবনের যুবরাজ শেখ হাসিনাকে হত্যা করার জন্য গ্রেনেড ছুড়েছিল।

“তারেকের কত টাকা আছে, তা কেউ জানে না, দেশে তার কতটা বাড়ি আছে, কতটা মার্কেট আছে, তাও জানে না। সে এখন মির্জা ফখরুলের নেতা।”

তারেক রহমানের দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, “ফেইসবুকে ছাড়া হয়েছে ১১ তারিখে বিমানবন্দরে নামবে। বড়লোকদের বাড়ির সামনে লেখা থাকে কুকুর হতে সাবধান – আমি বলি তারেক রহমান থেকে সাবধান।”

সোমবার বিকালে জামালপুর জিলা স্কুল মাঠে জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে কাদের প্রধান অতিথি ছিলেন।

এর আগে সম্মেলন উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক।

দলের জেলা সভাপতি মুহাম্মদ বাকী বিল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ. ফ. ম. বাহাউদ্দিন নাসিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম ও শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, সদস্য মারুফা আক্তার ও রেমন্ড আরেং।

অন্যদের মধ্যে সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ, ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান দুলাল, সংসদ সদস্য মোজাফফর হোসেন, সংসদ সদস্য বেগম হোসনেয়ারা, জামালপুর পৌর মেয়র ছানোয়ার হোসেন ছানু বক্তব্য দেন।

সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের জেলা সভাপতি হিসেবে মুহাম্মদ বাকী বিল্লাহকে পুনরায় সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক হিসেবে বিজন কুমার চন্দ ও সহ-সভাপতি হিসেবে ফারুক আহাম্মেদ চৌধুরীর নাম ঘোষণা করেন।

বকশীগঞ্জ ও দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার নতুন কমিটি ঘোষণা

একই অনুষ্ঠানে জামালপুরের বকশীগঞ্জ ও দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটি বিলুপ্ত করে নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।

সোমবার দুপুরে জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন শুরুর এক ঘণ্টা আগে এই দুই উপজেলা কমিটি বাতিল করে নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়।

বকশীগঞ্জ উপজেলায় নতুন কমিটির সভাপতি শাহিনা বেগম এবং সাধারণ সম্পাদক পদে ইসমাইল হোসেন তালুকদার বাবুলের নাম ঘোষণা করা হয়।

এই উপজেলার আগের কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ছিলেন যথাক্রমে নূর মোহাম্মদ ও সাইফুল ইসলাম বিজয়।

এ ছাড়া দেওয়ানগঞ্জে উপজেলা আওয়ামী লীগের নতু কমিটির সভাপতি পদে আবুল কালাম আজাদ এবং সাধারণ সম্পাদক পদে শাহজাহান আকন্দকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

এই উপজেলায় আগে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ছিলেন আবু বকর এবং সাধারণ সম্পাদক ছিলেন বর্তমান সভাপতি আবুল কালাম আজাদ।