গত বছরের ৯ ডিসেম্বর ধর্ষণ মামলাটি নথিভুক্ত হয়।
Published : 28 Jan 2024, 12:28 AM
নেত্রকোণার কলমাকান্দা উপজেলায় মাদরাসা ছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মামলায় আরও দুজন গ্রেপ্তার হয়েছেন।
শুক্রবার টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার লতিফপুর এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়; পরে শনিবার তাদের কলমাকান্দা থানায় হস্তান্তর করা হয় বলে জানিয়েছেন ময়মনসিংহ র্যাব-১৪ এর উপ-পরিচালক (অপারেশনস্) মো. আনোয়ার হোসেন।
গ্রেপ্তাররা হলেন- উপজেলার দৌলত মিয়া (২৩) এবং দেলোয়ার হোসেন (২২)।
এর আগে একই মামলায় ২৯ ডিসেম্বর আসামি মো. মনির মিয়াকে (২৪) দুর্গাপুর উপজেলা থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। পরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায় পুলিশ।
মামলার বরাতে র্যাব জানায়, নবম শ্রেণির ওই ছাত্রীকে মাদরাসায় আসা-যাওয়ার পথে উত্ত্যক্ত করতেন আসামিরা। গত বছরের ১১ নভেম্বর ছাত্রী তার মাকে বিষয়টি জানায়। তখন ছাত্রীর মা স্থানীয় ইউপি সদস্যের কাছে এ নিয়ে বিচার দেন।
ছাত্রীর মা ও ইউপি সদস্য আসামি মনির মিয়ার বাড়িতে গিয়েও বিষয়টি জানান। তখন মনিরের পরিবার তাদের ওপর ক্ষুব্ধ হয় এবং তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়।
একপর্যায়ে ছাত্রীর মা ও ইউপি সদস্যকে পিটিয়ে রক্তাক্ত করেন আসামিরা। খবর পেয়ে ছাত্রী ও প্রতিবেশীরা গিয়ে তাদের উদ্ধার করে পাশের একটি বাড়িতে নিয়ে আসেন।
পরে ছাত্রী তার মায়ের কাপড়-চোপড় আনার জন্য নিজেদের বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন। তখন পথে ছাত্রীর মুখ চেপে ধরে আসামিরা পাশের একটি ক্ষেতে নিয়ে ধর্ষণ করেন। তার চিৎকারে লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে কলমাকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। পরবর্তী সময়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এ ঘটনায় ছাত্রী বাদী হয়ে তিনজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও দুজনকে আসামি করে আদালতে একটি লিখিত অভিযোগ দেন। আদালত কলমাকান্দা থানাকে অভিযোগটি মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করার নির্দেশ দেন। ৯ ডিসেম্বর মামলাটি নথিভুক্ত হয়। কিন্তু ঘটনার পর আসামিরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়।
কলমাকান্দা থানার ওসি মোহাম্মদ লুৎফুল হক বলেন, গ্রেপ্তার দুই আসামিকে বিকালে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।