আব্দুল মতিন সরকার কিশোরীকে ধর্ষণের পর মা ও মেয়ের মাথা মুণ্ডনের ঘটনায় আলোচিত তুফান সরকারের বড় ভাই।
Published : 11 Mar 2025, 03:44 PM
অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং সেই সম্পদের তথ্য গোপনের দায়ে বগুড়ার একটি আদালত সাবেক যুবলীগ নেতা আব্দুল মতিন সরকারকে ১৩ বছর কারাদণ্ড দিয়েছে।
বিশেষ আদালতের জ্যেষ্ঠ জেলা জজ মো. শহীদুল্লাহ আসামির অনুপস্থিতিতে এ রায় দেন বলে দুদকের আইনজীবী আবুল কালাম আজাদ জানান।
পলাতক আব্দুল মতিন সরকার শহর যুবলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। তিনি কিশোরীকে ধর্ষণের পর মা ও মেয়ের মাথা মুণ্ডনের ঘটনায় আলোচিত তুফান সরকারের বড় ভাই। তুফান বগুড়া শহর শ্রমিক লীগের নেতা ছিলেন।
মামলার রায়ের সময় বিচারক মো. শহীদুল্লাহ বলেন, “আসামি আব্দুল মতিন সরকারের পিসিআর (প্রিভিয়াস কেস রেকর্ড) খারাপ। অন্য একটি মামলায় তার ২০ বছরের সাজা হয়েছে। জনগণের কাছে তিনি মূর্তিমান আতঙ্ক। এসব কারণে রাষ্ট্রপক্ষের চাওয়া অনুযায়ী, তাকে সর্বোচ্চ শস্তি প্রদান করা হয়েছে।”
আইনজীবী বলেন, আব্দুল মতিন সরকারকে দুটি ধারায় ১৩ বছরের কারাদণ্ড এবং অবৈধভাবে অর্জিত দুই কোটি ২৮ লাখ ৩১ হাজার ৩১৫ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাস কারাবাসের নির্দেশ দেওয়া হয়।
৫ অগাস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে আব্দুল মতিন সরকার পলাতক রয়েছেন।
মামলার বরাতে আইনজীবী বলেন, আব্দুল মতিন সরকার এবং তার ছোট ভাই তুফান সরকার আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে কতিপয় নেতার ছত্রছায়ায় জেলাজুড়ে ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করেন। মাদক ব্যবসা ও চাঁদাবাজিই ছিল তাদের মূল পেশা। কেউ বাধা দিলেই তাকে হত্যা করতেও দ্বিধা করতেন না। দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে একাধিক হত্যা মামলাও রয়েছে। এর আগে একটি অস্ত্র মামলায় আব্দুল মতিন সরকারের ২০ বছরের সাজা হয়।