“আমরা অজু-গোসলের পাশাপাশি গৃহস্থালী কাজে খালের পানি ব্যবহার করতে পারব,” বলেন স্থানীয় এক বাসিন্দা।
Published : 02 Mar 2025, 08:39 PM
টঙ্গীপাড়া পৌর কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে ‘প্রাণ ফিরেছে’ গিমাডাঙ্গা-টুঙ্গিপাড়া খালের।
গোপালগঞ্জের গিমাডাঙ্গা-টুঙ্গিপাড়া খালটি এতো দিন কচুরিপানা ও আবর্জনায় ভরতি ছিল।
ফলে ৫ গ্রামের মানুষের এ খালের পানির ব্যবহার বন্ধ হয়ে যায়। এছাড়া খালের আশপাশে থাকা অন্তত ১০টি মসজিদে নামাজ পড়তে আসা মানুষ অজুও করতে পারছিলেন না।
খালপাড়বাসীর মাধ্যমে বিষয়টি টুঙ্গিপাড়া পৌরসভার প্রশাসক জানতে পারেন।
শনিবার থেকে দুদিন ধরে পৌর কর্তৃপক্ষ দুই কিলোমিটার দীর্ঘ গিমাডাঙ্গা-টুঙ্গিপাড়া খালের কচুরিপানা ও আবর্জনা পরিষ্কারের উদ্যোগ নেয়।
রোববার খালের কচুরিপানা-আবর্জনা সরানো হয়েছে।
গিমাডাঙ্গা গ্রামের বিশ্বাস সিরাজুল আলম (৬৫) বলেন, “গিমাডাঙ্গা-টুঙ্গিপাড়া খালটির সঙ্গে বাঘিয়ার নদীর সংযোগ রয়েছে। নদী থেকে কচুরিপানা ও আবর্জনা খালে ঢুকে জমাট বেঁধে ছিল। এতে ব্যবহারের অনুপোযোগী হয়ে পড়ে এ খালের পানি।
“এতে আমাদের পাটগাতী, টুঙ্গিপাড়া, পাঁচকাহনিয়া, গিমাডাঙ্গা, কাজীপাড়া গ্রামের হাজার-হাজার মানুষ পানির কষ্টে দুর্ভোগে পড়েন। টুঙ্গিপাড়া পৌরসভার প্রশাসক মো. মঈনুল হক দুর্ভোগের কথা জানতে পরেন। তিনি খাল পরিষ্কারের উদ্যোগ নেন।”
গিমাডাঙ্গা গ্রামের ৭০ বছর বয়সি লিটু শেখ ও টুঙ্গিপাড়া গ্রামের ছালু কাজী বলেন, খালপাড়ে প্রায় ১০টি মসজিদ রয়েছে। কচুরিপানা ও আবর্জনা থাকায় খালপাড়ের মসজিদে নামাজ আদায় করতে আসা মানুষ খালের পানি দিয়ে অজু করতে পারতেন না। বিষয়টি তারা পৌর প্রশাসকে মৌখিকভাবে জানান।
তিনি প্রথম রোজার মধ্যে খাল পরিষ্কারের প্রতিশ্রুতি দেন। তিনি দুই দিন কাজ করিয়ে খাল পরিষ্কার করে দিয়েছেন। এখন খালে স্বচ্ছ পানির প্রবাহ শুরু হয়েছে। এখন থেকে অজু করতে সমস্যা হবে না।
এজন্য পৌর কর্তৃপক্ষকে তারা ধন্যবাদ দিয়েছেন।
কাজীপাড়া গ্রামের হিমেল কাজী বলেন, “খালের দুই পাশ সুন্দরভাবে বাঁধাই করা। কচুরিপানা ও ময়লা-আবর্জনার কারণে খালের পানি কেউই ব্যবহার করতে পারত না। খালটির সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। এগুলো অপসারণ করায় খালটি প্রাণ ফিরে পেয়েছে।
“আমরা খালপাড়ের বাসিন্দারা অজু-গোসলের পাশাপাশি গৃহস্থালী কাজে এর পানি ব্যবহার করতে পারব।”
টুঙ্গিপাড়া পৌরসভার প্রশাসক মো. মঈনুল হক বলেন, “গিমাডাঙ্গা-টুঙ্গিপাড়া খালটি চার বছর ধরে ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ে ছিল। দুই কিলোমিটার দৈর্ঘের খালটি নিয়ে দুর্ভোগের কথা স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে জানতে পারি।
“শনিবার থেকে দুই দিনব্যাপী পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান শুরু হয়। কচুরিপানা ও আবর্জনা অপসারিত হয়েছে।”