“এ ঘটনায় শিশুটির মা বাদী হয়ে থানায় মামলা করলে বাদশাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।”
Published : 24 Mar 2025, 04:23 PM
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলায় সাত বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সোনাইমুড়ী থানার ওসি মোরশেদ আলম জানান, সোমবার সকালে নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রপ্তার করে পুলিশ। দুপুরে তাকে জেলার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গ্রেপ্তার রেজাউল করিম বাদশা (২২) উপজেলার নদনা ইউনিয়নের উত্তর শাকতলা গ্রামের মো. ফয়েজের ছেলে। তিনি ওই গ্রামে দোকান চালান।
ভুক্তভোগী শিশুটির বাড়ি একই গ্রামে এবং স্থানীয় মাদ্রাসার প্রথম শ্রেণির ছাত্রী সে। তাকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
শিশুটির মা বলছেন, শনিবার বিকালে তার মেয়ে বাড়ির পাশের দোকানে দই কিনতে যায়। দীর্ঘক্ষণ পর মেয়েকে বিধ্বস্ত অবস্থায় ফিরতে দেখে কোলে নিয়ে দেখেন, তার শরীরে ব্লেড দিয়ে কাটার চিহ্ন এবং সেখান থেকে রক্ত বের হচ্ছে। পরে মেয়ে জানায় যে, দোকানের শাটার টেনে বাদশা তাকে নির্যাতন করেছে। তাৎক্ষণিক ঘটনাটি সামনের সেনা ক্যাম্পে অবহিত করে মেয়েকে নিয়ে হাসপাতালে যান তিনি।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মামুন মোস্তাফিজ বলেন, “ধর্ষণের শিকার হওয়ার অভিযোগ নিয়ে সাত বছরের শিশুটিকে অসুস্থ অবস্থায় জরুরি বিভাগে আনা হয়। তাৎক্ষণিকভাবে তাকে ভর্তি করে ওয়ার্ডে স্থানান্তর করা হয়। তাকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিয়ে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।”
সোনাইমুড়ী থানার ওসি মোরশেদ আলম বলেন, “বিষয়টি জানার পর রাতেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। এ ঘটনায় শিশুটির মা বাদী হয়ে থানায় মামলা করলে বাদশাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।”
এদিকে সোমবার সকালে নোয়াখালী নারী অধিকার জোটের আহ্বায়ক রৌশন আক্তার লাকির নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল হাসপাতালে শিশুটিকে দেখতে যান। তারা শিশুটির চিকিৎসার খোঁজখবর নেন এবং এ ঘটনার জন্য শিশুটির পরিবারকে বিনামূল্যে আইনি সহায়তা দেওয়ার আশ্বাস দেন।
এ সময় নোয়াখালী নারী অধিকার জোটের সদস্য কল্পনা রানী দাস, নাছিমা মুন্নি, নুরজাহান রীনি ও সাহেদা পারভীন উপস্থিত ছিলেন।